অনলাইন ডেস্ক, ১৫ নভেম্বর।। মরসুমের প্রথম তুষারপাত ভূস্বর্গে। হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। উপত্যকার রাস্তা, গাছ, বাড়ি ঢেকে গিয়েছে সাদা বরফে। বিভিন্ন রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছে বরফে। সমস্যার মধ্যেও কাশ্মীরবাসীর মধ্যে আশা জাগছে, ভূস্বর্গের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের টানে এবার বহু পর্যটকের আগমন হবে।
আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে পর্যটন শিল্প। সারা দেশ জুড়ে এখন উৎসবের মেজাজ। তার মধ্যেই মরসুমের প্রথম তুষারপাতের অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকল উপত্যকা। পুরোপুরি শীত আসার আগে এই প্রথম কাশ্মীরে বরফ পড়ল।
সোনমার্গ, দ্রাস, পীর কি গলি, পীরপঞ্জলের মত উঁচু অঞ্চলগুলিতে বরফ পড়েছে। পাশাপাশি আউটার হিমালয়েও তুষারপাত হয়। হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। সারারাত ধরে চলা তুষারপাতের ফলে বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে কাশ্মীর। তবে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন কাশ্মীরবাসী। তুষারপাতের কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে পীর কি গলির মুঘল রোড।
পুরোপুরি স্তব্ধ শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ে। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাপক তুষারপাত হয় উত্তর কাশ্মীরের গুলমার্গ, পেহলগাঁওতে। এবার নভেম্বরেও পুরু বরফের স্তর পড়ে গিয়েছে। অন্যবার তাই শীতের মরশুমে স্কি রিসর্ট, হিল রিসর্টগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে কৌতূহলী পর্যটকদের।
কিন্তু এবছর করোনা মহামারীর কারণে পর্যটকের আসবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই কাশ্মীররে দরজা পর্যটকরেদর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে রয়েছে একাধিক বিধি-নিষেধ। এসময়ের সৌন্দর্যের টানে এবার বহু পর্যটক আসবেন বলেই আশাবাদী উপত্যকাবাসী।