নতুন অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। ওজন বেড়ে গেলে মনে করতে হবে শরীরে মেদ জমছে। এই মেদ কমানোর মানে ডায়েট আর শরীরচর্চার কথাই স্বাভাবিকভাবে সবাই ভাবেন। তবে অনেকের ধারণা, জিমে গিয়ে ওয়েট লিফ্টিং করা অথবা ট্রেডমিলে দৌড়ে ঘাম ঝড়ানোই আদতে শরীরচর্চা। কিন্তু শরীরের গড়ন ধরে রাখা, বাড়তি মেদ কমানোর একমাত্র উপায় শুধুমাত্র জিম নয়। হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করলেও মেদ কমবে।ফিটনেস বিশেষজ্ঞের মতে, সুস্থ-সবল শরীর পেতে হলে শরীরচর্চা করতেই হবে। হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা তার মধ্য অন্যতম। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, মাংশপেশীর গঠন এবং ভারসাম্য দৃঢ় করতে খুবই কার্যকর একটি কসরত বা ব্যায়াম। বেশি ক্যালোরি ঝরানো এবং পেশীর টোনিংয়ে সাহায্য করে এই ব্যায়াম। লিফ্ট ব্যবহার না করে দিনের মধ্যে কয়েক বার সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করলে হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়বে। হাঁটুর মাংসপেশী মজবুত হওয়ার পাশাপাশি আরও উপকার পাওয়া যাবে। এবার সে সম্পর্কে জানা যাক…. একাধিক মাংসপেশীকে প্রভাবিত করে-সমতল ভূমিতে দৌড়নো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশীগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধুমাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়িতে চড়ার সময় আপনার গ্লুটস, কোয়াডস এবং হ্যামস্ট্রিং একসঙ্গে কাজ করে। মেদমুক্ত পেশীর জন্য এটি খুব কার্যকর একটি কসরত। শরীরের ভারসাম্য এবং শক্তি বাড়ায়-সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় পায়ের স্থির পেশী, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার্থে একসঙ্গে কাজ করে থাকে। এই ব্যায়ামের ফলে আপনার শরীরিক শক্তির বিকাশ ঘটে। শুরুর দিকে পায়ে টান ধরা বা ব্যাথা অনুভূত হলেও পরে নিজেকে তরতাজা লাগবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে-সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা হার্ট সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই কসরতের ফলে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং হৃদস্পন্দন ঠিক থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল- শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটার ফলে হরমোন গ্রন্থি থেকে গুড হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। মন ভাল থাকে। তবে সিঁড়ি ভাঙার কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মেনে সিঁড়িতে ওঠানামা করলে সমস্যা তেমন একটা হয় না। তাই সিঁড়িতে পা ফেলার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। আপনার কসরতের ভঙ্গিমা যেন ঠিক থাকে। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন, সামনের দিকে ঝুঁকে পড়বেন না। শুরুতেই তাড়াহুড়ো নয়। ধীরে ধারে শুরু করুন এবং পরে এর সময়সীমা বাড়ান। সিঁড়িতে ওঠানামার জন্য সঠিক স্পোর্টস স্যু’র প্রয়োজন রয়েছে। যে কোন জুতা পরে ওঠানামা করতে গেলে পায়ে টান ধরা বা চোট লাগার আশঙ্কা থেকে যায়। যদি হাঁটাচলায় সমস্যা বা বাতের সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার চিন্তা করুন।