অনলাইন ডেস্ক, ৫ নভেম্বর।।আমেদাবাদের এক রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ১২ জন শ্রমিকের। বেশ কয়েক জন গুরুতর জখম হয়েছেন। আহতরা সকলেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি। এর আগে বুধবার সকালে আমেদাবাদে একটি কাপড়ের গুদামে আগুন লাগলে নয়জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।জানা গিয়েছে বুধবার রাতে একটি রাসায়নিক তৈরি কারখানার গুদামে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই গুদামে আগুন ধরে যায়। ভেঙ্গে পড়ে গুদামের টিনের চাল ও দেওয়াল।
আগুন ছড়ায় আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানাতেও। আমেদাবাদের পিরানা পিপলাজ রোডের পাশেই এই রাসায়নিক তৈরির কারখানাটির অবস্থান। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণ হয় ওই রাসায়নিক কারখানার গুদামে। সেখানে রাখা রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম থেকেই এই বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গুদামের চাল উড়ে যায়। কংক্রিটের দেয়াল ভেঙে পড়ে।এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই রাসায়নিক তৈরির কারখানার আশপাশে বেশ কয়েকটি কাপড়ের কারখানা রয়েছে।
সেখানে তখন বহু মানুষ কাজ করছিলেন। আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে অনেকেই ওই সমস্ত কারখানা থেকে বের হতে পারেননি। কয়েকজন শ্রমিক দেওয়াল চাপা পড়ে মারা যান। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। আমেদাবাদ দমকলের অফিসার এম এস দস্তুর বলেছেন, কিছুক্ষণের চেষ্টাতেই অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কংক্রিটের দেওয়াল সরিয়ে চলছে উদ্ধার কাজ। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১২টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর জখম ১৩ জন শ্রমিক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইভাবে শোক প্রকাশ করেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবার পিছু চার লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আহতদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রূপানি। আহমেদাবাদ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অশোক মুনিয়া বলেছেন, কি কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।