স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২ নভেম্বর।। বাঁশ-র যথাযথ ব্যবহারে সমৃদ্ধ হবে রাজ্যের অর্থনীতি, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ-কথা বলেন ত্রিপুরার বনমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া। সারা দেশেই বাঁশের ভীষণ চাহিদা রয়েছে। ত্রিপুরা ওই প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। আজ তেলিয়ামুড়া মহকুমার চাকমাঘাটে ত্রিপুরা-র দ্বিতীয় ব্যাম্বাে ডিপাের শিলান্যাস হয়েছে। বনমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া এর আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করেছেন। ব্যাম্বাে ডিপাের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অতুল দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস রায়, পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান অপু গােপ, সমাজসেবী আশিস দেবনাথ, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, ব্যাম্বো মিশনের অতিরিক্ত মিশন অধিকর্তা মাণিকলাল দাস প্রমুখ।
এদিন ব্যাম্বো ডিপাের শিলান্যাস করে বনমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, বর্তমান ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের সকল অংশের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। রাজ্যের একমাত্র ব্যাম্বা ডিপাে রয়েছে কুমারঘাটে। আজ চাকমাঘাটে দ্বিতীয় ব্যাম্বো ডিপাের শিলান্যাস করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনজাতিদের অধিকাংশই বাঁশ চাষের সাথে যুক্ত। দূর দূরান্ত থেকে তারা বাঁশ এনে বিক্রি করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন। তারা যেন তাদের বাঁশের নায্যমূল্য পান তার জন্যই এই ব্যাম্বো ডিপাে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মুল্যে বাঁশ কেনা বেচা যাবে এই ডিপাে থেকে। তার ফলে প্রকৃতভাবে উপকৃত হবেন গরীব জনজাতি অংশের মানুষ। সারা দেশেই বাঁশের চাহিদা রয়েছে। এ রাজ্য প্রাকৃতিক সম্পদে যথেষ্ট পরিপূর্ণ। বনমন্ত্রী বিজ্ঞানসম্মতভাবে বাঁশ চাষ ও শিল্পে বাঁশের ব্যবহারের উপর গুরুত্বারােপ করেন।
বাঁশকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে সমৃদ্ধ হবে রাজ্যের অর্থনীতি। সরকারি উদ্যোগে বন দপ্তর এবছর ১ কোটি বাঁশের চারা লাগিয়েছে। স্ব-উদ্যোগীরা এই চারা ব্যবহার করে হ্যান্ডিক্রাফট, ধূপকাঠি ইত্যাদির কারখানা খুলে রােজগার করতে পারবেন। বিধায়ক অতুল দেববর্মা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, জনজাতি জীবন সভ্যতার সাথে বাঁশ চাষ অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। খাদ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে লাগে এই বাঁশ। বাশের বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যবহার রাজ্যের জনজাতি জীবনের অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে তার ভাষণে বাঁশ চাষের গুরুত্ব তুলে ধরেন। চলতি অর্থবছরে রাজ্যের ২২০০ হেক্টর জায়গা বাঁশ চাষের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। অনুষ্ঠানে ১৬ জন বাঁশ চাষীকে ব্যাম্বো টুল কিট দেওয়া হয়। এখানে উল্লেখ্য এই ব্যায়াে ডিপাে নির্মাণে প্রথম পর্যায়ে পঞ্চাশ লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছে।