আগরতলা, ৪ মার্চ : অবশেষে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে বিভিন্ন প্যাকেজের রিলিজ ও অভাব অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের নিয়ে বৈঠক করল ত্রিপুরা সরকারের জনজাতি কল্যাণ দপ্তর। মহাকরণে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সহ আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।
ত্রিপুরায় শান্তির বাতাবরণ ফিরিয়ে আনতে ২০২৪ সালের কেন্দ্র, রাজ্য এবং রাজ্যের এনএলএফটি ও এটিটিএফ জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহার উপস্থিতিতে এনএলএফটি এবং এটিটিএফ জঙ্গিদলের প্রায় ৫৮৪ জন সদস্য অস্ত্র পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আত্মসমর্পণকারীদের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এই প্যাকেজের অনেকগুলি এখনও পর্যন্ত চালু করা হয়নি। এই নিয়ে আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের সংগঠন ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস রিটার্নিজ পিপলস কাউন্সিল তথা টিইউআইআরপিসি নেতৃবৃন্দ দাবি জানাতে শুরু করেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি টিইউআইআরপিসি হতাইকতরে জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলনে সামিল হন। পরবর্তী সময়ে আরো বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত করার হুঁশিয়ারি দেয় তারা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মহাকরণে ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস রিটার্নিজ পিপলস কাউন্সিল তথা টিইউআইআরপিসি এর নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করে রাজ্য সরকারের জনজাতি কল্যাণ দপ্তর।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং টিইউআইআরপিসি নেতৃবৃন্দ। এই বৈঠককে স্বাগত জানান টিইউআইআরপিসির সভাপতি ড্যানিয়েল বরক। তিনি জানান, বৈঠকে বিভিন্ন প্যাকেজ রিলিজ করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের বিভিন্ন সমস্যাগুলিও খতিয়ে দেখা হয়।
প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে টিইউআইআরপিসির পক্ষে ড্যানিয়েল বরক ছাড়াও অনন্ত দেববর্মা, বিনয় দেববর্মা, অনন্ত কৃষ্ণ জমাতিয়া৷ ঠমাস ত্রিপুরা, বিশ্ব মোহন দেববর্মা, উপেন্দ্র রিয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।