জল জীবন মিশন প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ বিলোনিয়ায়

বিলোনিয়া, ১৯ ফেব্রুয়ারি : জল জীবন মিশন  প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা দক্ষিণ জেলা সদর বিলোনিয়ার ভারত চন্দ্র নগর ব্লকের অন্তর্গত পাইখলা গ্রাম পঞ্চায়েতের নাথ পাড়ায়। এই পাড়ায় পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে ২০১১- ২০১২ সালে জনৈক বিকাশ চৌধুরীর জায়গায় একটি সাবমার্সিবল বা সেলো টিউবয়েল বসানো হয়। বর্তমানে সংস্কারের অভাবে প্রকল্পটির অধিকাংশ পাইপ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু বর্তমান সরকার প্রকল্পটি সংস্কার না করলেও প্রকল্পটিকে জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় এনে সাবমার্সিবল নির্মাানে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ হয় বলে পিডব্লিওডি (ডিডব্লিওএস) বিলোনিয়া ডিভিশন একটি সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ের পানীয় জলের প্রকল্পটির কোন সংস্কার না করে দীর্ঘ প্রায় ১৩ বৎসরের পুরনো প্রকল্পকে নতুন প্রকল্প বলে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ের সাইন বোর্ড লাগানোর ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

কাজ না করে দপ্তরের সাইন বোর্ড লাগানোর বিষয়ে ডিডব্লিওএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রকল্পটি বহু পুরনো। কিন্তু ভারত সরকারের জল জীবন মিশন দপ্তরের তরফে নাকি জানানো হয় প্রতিটি পানীয় জল প্রকল্পকে হর ঘর জল মিশনের প্রকল্পে যুক্ত করে জিও ট্যাগিং করতে। তবে পুরনো প্রকল্পে ছয় লক্ষ টাকার ব্যয় ধরার বিষয়ে দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় রাজ্য সরকারের ডিডব্লিওএস একটি ফরমেট তৈরী করে দেয় যাতে প্রতিটি প্রকল্পের ব্যয় ছয় লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। সেই হিসাবেই রাজ্য সরকারের পানীয় জল দপ্তরের নির্দেশেই পাইখলার নাথ পাড়ার প্রায় ১৩ বৎসরের পুরনো পানীয় জল প্রকল্পটিকে হর ঘর জল মিশনের ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দপ্তরের কাছে জিও ট্যাগিং করে ছবি পাঠানো হয়।

প্রকল্পটির সম্বন্ধে পাইখলা গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব জানান কে কেন কিভাবে হর ঘর মিশনের সাইন বোর্ড লাগিয়েছে তিনি তা জানেন না। তিনি জানেন দীর্ঘ প্রায় ১৩ বৎসরের পুরনো পানীয় জলের প্রকল্পটি যখন তৈরী হয় তিনি তখন চাকুরিই পাননি। তবে হর ঘর জল জীবন মিশনের সাইন বোর্ডে ডিডব্লিওএসের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সচিবের নাম দেওয়ার বিষয়ে পঞ্চায়েত সচিব সুব্রত লোধ জানান তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

এদিকে সাইন বোর্ডে পিডব্লিওডি (ডিডব্লিওএস)  বিলোনিয়া ডিভিশনের দুইজন ইঞ্জিনিয়ার অঞ্জন মজুমদার ও রাজু সরকারের নাম রয়েছে। এছাড়া কাজটির এজেন্সি হিসাবে বিপ্লব চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা। তবে কাজটি কবে শুরু হয়েছে বা কবে শেষ হয়েছে তার কোন উল্লেখ নেই। একটি পুরনো প্রকল্পে কোন কাজ না করে রাজ্য সরকারের একটি দপ্তর ৬ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?