স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ অক্টোবর।। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পে আরও বেশি মানুষকে সুবিধা দিতে পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে অনুরোধ করা হয়েছিল কাঁচা বাড়ির সংজ্ঞা বদল করার জন্য। রাজ্যে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে সেই অনুরোধ জানানো হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। কাঁচা দেওয়াল ও টিনের ছাদ যুক্ত বাড়ি থাকলে তা আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-র আওতাভুক্ত হতো না।
ত্রিপুরা সরকারের অনুরোধে, এবার থেকে কাঁচা দেওয়াল ও টিনের ছাদ যুক্ত বাড়িকেও কাঁচা বাড়ি হিসেবে গণ্য করা হবে। এবং তা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর আওতাভুক্ত করা হবে। কাঁচা বাড়ির যে সংজ্ঞা ছিল তাতে বদল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামীণ) ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ত্রিপুরায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার ৮৩৮টি বাড়ি তৈরির। এখনও পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩৭৬টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ত্রিপুরার ৫০ হাজার পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর সুবিধা পাবেন। যা রাজ্যের মানুষের আবাস পরিকাঠামোয় যুগান্তকারী বদল হতে চলেছে।