কুমারঘাট, ১২ ফেব্রুয়ারি : ত্রিপুরায় পুলিশের হাতে আটক তিন বাংলাদেশি নাগরিক ও এক ভারতীয় দালাল। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের একটি আসবাপত্রের দোকানে কাজের সুবাদে কয়েকমাস ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল তারা। ধৃত চারজনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ত্রিপুরায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল তিন বাংলাদেশি নাগরিক ও এক ভারতীয় দালাল। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট পূর্ত দপ্তরের মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে কুমারঘাট থানার পুলিশ। কুমারঘাট থানার ওসি সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে গোপন সুত্রে খবর আসে কুমারঘাট পূর্ত দপ্তরের মাঠ সংলগ্ন একটি কাঠের আসবাপত্রের দোকানে কাজ করছে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। সেই সুত্র ধরে মঙ্গলবার গভীর রাতে সেই দোকানে হানা দিয়ে তিনজন বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে। ধৃতরা হল খোকন মিঞা, আবির মিঞা এবং জুয়েল মিঞা। গত পাঁচমাস ধরে কাজের সুত্রে কুমারঘাটে অবস্থান করছিল তারা। প্রত্যেকেই বাংলাদেশের সিলেট জেলার বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাদের ভারতে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সহায়তার দায়ে কৈলাসহরের ইরানী থানার বাসিন্দা আশিক উদ্দীন নামের এক দালালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক। তিনি জানান, অবৈধভাবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আশ্রয় দিয়ে কাজ করানোর দায়ে ওই আসবাপত্রের দোকানের মালিকের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে কঠোর ব্যাবস্থা। বুধবার চারজনকে আদালতে পাঠিয়েছে কুমারঘাট থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুমারঘাট থানা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির মাঝে ভারতে থেমে নেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ঘটনা। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালাল চক্রের হাত ধরে বাংলাদেশিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করছে বলে অভিযোগ। অনেক সময় পুলিশের হাতে ধরাও পড়ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা। এরই মাঝে টানা মাসের পর মাস কুমারঘাট শহরের বুকে এভাবে বাংলাদেশিদের ভরণপোষণ দেওয়ার ঘটনায় দোকান মালিকের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।