আগরতলা, ১১ ফেব্রুয়ারি : গত বছরের আগস্টের বন্যায় রাজ্যের মোট ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ৫৮ হাজার ৬৮৭টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন। মঙ্গলবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা এবং অভয় মিশনের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বন্যার সময় সকল অংশের জনগণ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা এবং অভয় মিশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক বিশাল কুমার, সদর মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের হাতে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যার সময় রাজ্যের প্রায় সবকটি সংগঠন, ক্লাব, সমাজসেবী সংস্থা, ছাত্র-ছাত্রী এমনকি পেনশনরা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বন্যায় রাজ্যের বারটি নদীর মধ্যে জুরি নদী বাদে বাকি ১১টি নদীর জল বিপদসীমা স্পর্শ করেছিল। ছয়টি নদীর জল বিপদসীমার চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করছিল। বন্যায় ১৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। চার লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। ৮৮৯ টি ত্রাণ শিবিরে ২ লক্ষ মানুষকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এতসব ব্যবস্থা এবং উদ্যোগ গ্রহণের পরও ভয়াবহ বন্যায় আমরা ৩৮ জনকে চিরতরে হারিয়েছি। মোট ৫৮ হাজার ৬৮৭ টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকা বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম জেলার জেলাশাসক বিশাল কুমার ।বন্যার সময় সকল অংশের মানুষ তাদের সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় অভিনন্দন জানান জেলা শাসক। তিনি বলেন, সমাজের শক্তি হল এটি,যখনই প্রয়োজন পড়ে তখন সমাজের একজন লোক আরেকজনের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।