সোমবারও আগরতলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উৎসাহে বাণী বন্দনা

আগরতলা, ৩ ফেব্রুয়ারি : বাগদেবীর আরাধনা ঘিরে সোমবারও রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবের সমারোহ পরিলক্ষিত হল। সোমবার সকাল থেকেই সেজেগুজে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়মুখী হয়। বাগদেবীর আরাধনার দ্বিতীয় দিনের লগ্ন খুব বেশি একটা সময় না থাকায় সকাল থেকে শুরু হয় বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে পূজা পাঠ।

এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় রাজধানীর শিশু বিহার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাণী বন্দনা। বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরাই এবছর বাণী বন্দনার আয়োজন করেছে। পূজা এবং যজ্ঞ শেষে সকাল নয়টার মধ্যে শুরু হয় অঞ্জলি প্রদান। এই অঞ্জলি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা। এদিন শিশু বিহার উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, এবার একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পূজার আয়োজন করেছে। প্রায় একমাস আগে থেকে শুরু হয়েছে পূজার প্রস্তুতি। পূজার্চনা সুন্দরভাবে সমাপন হওয়ায় তারা খুশি। ওই ছাত্রী আরো জানায়, বিদ্যা দেবীর কাছে তাদের প্রার্থনা সকলের মঙ্গল হোক, সকলের বিদ্যা বুদ্ধি হোক, সবাই সুস্থ থাকুক, ভালো থাকুক। সে আরো জানায়, পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এরপর বন্ধুদের সাথে গল্প গুজব করে মহানন্দে এই দিনটি পালন করছে।

এবছর মহারানী তুলসীবতী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়েও বাগদেবীর আরাধনার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পড়েছে বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের উপর। এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জানায়।, পূজাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকটা দিন তাদের ব্যস্ততা ছিল চরমে। বাজার হাট থেকে শুরু করে সাজসজ্জা, প্রতিমা আনায়ন সবকিছুই তাদের করতে হয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেয়েছে বলে জানায় এই ছাত্রী।

প্রতিবছরের মত এবারও সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে রাজধানীর অন্যতম বনেদি বিদ্যালয় নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন। এদিন সকাল সকাল পূজা শুরু হয় এই বিদ্যালয়ে। পূজা শুরুর আগেই বিদ্যালয়ে হাজির প্রাথমিক বিভাগ থেকে শুরু করে সব শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। সবাই মিলে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে বিদ্যাদেবীর নিকট অঞ্জলি প্রদান করে। পূজা শেষে শুরু হয় প্রসাদ বিতরণ। এদিন এমনটাই জানাল বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র । সে আরো জানায়, পূজা এবং প্রসাদ বিতরণ শেষ হয়ে গেলে তারা আশেপাশের বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিমা পরিদর্শন করে এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে দিনটি কাটায়।

উল্লেখ্য, এবছর অন্যান্য তিথির মত বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার তিথিও পড়েছে দুই দিনে। রবিবার দুপুর বারোটার কিছু পর থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চমী তিথি। তাই তিথি মেনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে রবিবার সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। সোমবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ছিল পঞ্চমীর তিথির সময়সীমা। রাজধানীর অধিকাংশ বিদ্যালয়েই সোমবার অনুষ্ঠিত হয় সরস্বতী পূজা।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?