আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি : ষোড়শ অর্থ কমিশনের নিকট কেন্দ্রীয় করের অংশে ৪১ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করার দাবি জানাল ত্রিপুরা সরকার। বৃহস্পতিবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা সরকারের এই দাবির কথা জানান ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া। তিনি আরো জানান, ত্রিপুরা সরকার ২০২৬-২০৩১ বর্ষের জন্য রাজস্ব ব্যয় বাবদ অর্থ বৃদ্ধির দাবিও জানিয়েছে।
বুধবার বিকালে ষোড়শ অর্থ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ টিম তিনদিনের রাজ্য সফরে আসে। ১২ সদস্যের এই টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া। ষোড়শ অর্থ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ টিম বৃহস্পতিবার সকালে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব জে কে সিনহা সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সচিব।
বৈঠকের পর ষোড়শ অর্থ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ দলটি রাজ্য অতিথিশালায় সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া। তিনি জানান, মহাকরণে ত্রিপুরা সরকারের আধিকারিকদের সাথে বৈঠকে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় করের অংশ ৪১ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। এছাড়া বন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার ২০ শতাংশ অর্থ বৃদ্ধির দাবি করেছে। রাজ্যে মোট ভূমির সত্তর শতাংশ বনাঞ্চল রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই দাবি করেছে বলে জানান ডঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া।
সাংবাদিক সম্মেলনে ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান আরো জানান, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অর্থবৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।এছাড়া রাজ্যের পরিকাঠামোগত খাতে এবং সীমান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ খাতেও অর্থবৃদ্ধির প্রস্তাব জানিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। ডঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া আরো জানান, এই অর্থ কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যেই কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। ত্রিপুরা সহ কমিশন এখন পর্যন্ত ১৭টি রাজ্য সফর করেছে বলে জানান তিনি।