আগরতলা, ২৪ ডিসেম্বর : ভোক্তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে আরো কড়া আইন প্রণয়ন চান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এই ক্ষেত্রে এসেন্সিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট- কে মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়ে বিল আকারে বিধানসভায় উত্থাপন করে পাস করিয়ে নিচে চান তিনি। মঙ্গলবার আগরতলায় প্রজ্ঞা ভবনে জাতীয় ভোক্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অভিমত ব্যক্ত করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
ভারতবর্ষে ১৯৮৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু হয়। অনার্য বাণিজ্য অনুশীলনের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেছিল এই আইন। সেই থেকে প্রতিবছর ২৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতীয় ভোক্তা দিবস হিসেবে সারা দেশে পালন করা হয়। মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে খাদ্য দপ্তরের উদ্যোগে প্রজ্ঞা ভবনে এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমা শাসক মানিক দাস, আইন সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, এসেন্সিয়াল কমোডিটি অ্যাক্টে পরিবর্তন আনতে চায় খাদ্য দপ্তর। কিন্তু এটি ভারত সরকারের অধীন কনকারেন্স লিস্টে রয়েছে। যতক্ষণ ভারত সরকার এই আইন পরিবর্তন না করে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারবো না ।এক্ষেত্রে তিনি বলেন, এসেন্সিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট-কে মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়ে বিল আকারে বিধানসভায় উত্থাপন করে পাস করিয়ে কালোবাজারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, এই ক্ষেত্রে ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। আর ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।