আমবাসা, ৬ ডিসেম্বর : ধলাই জেলার সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার আমবাসা পঞ্চায়েত রাজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত হয় জেলাভিত্তিক বিশ্ব প্রবীণ দিবস। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ধলাই জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুস্মিতা দাস। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমবাসা পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন প্রতিমা মালাকার, ধলাই জেলা শিক্ষা আধিকারিক যতন কুমার দেববর্মা, জেলা সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক আবিদ হোসেন সহ অন্যান্যরা।
এই অনুষ্ঠানে চারজন প্রবীণ নাগরিককে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। জেলার শ্রেষ্ঠ ৯০ ঊর্ধ্ব সম্মাননা , জেলার শ্রেষ্ঠ প্রবীণ কর্মজীবন সম্মাননা, জেলার শ্রেষ্ঠ প্রবীণ সৃজন কলা সম্মাননা, জেলার শ্রেষ্ঠ প্রবীণ সাহসিকতা সম্মাননা – এই চার বিভাগে চারজন প্রবীণকে সম্মাননা জানানো হয়। এই চারজন হল যথাক্রমে পরিমল চক্রবর্তী , ক্ষিতীশ দাস , প্রিয়বাসি রুদ্র পাল এবং রঞ্জিত দাস। এই চারজন প্রবীণ ব্যক্তিত্বকে শংসাপত্র সহ নগদ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে সম্মান জানানো হয়। এছাড়াও এই প্রথম জেলার তিনটি দুর্গাপূজা কমিটিকে তাদের আয়োজনে বয়স্কদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখায় বিশেষ শারদ সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদ্বোধক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুস্মিতা দাস বলেন, রাজ্য সরকার প্রতিনিয়তই বয়স্কদের নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে কিভাবে তাদের সম্মান প্রদান করা যায়। আর এর অঙ্গস্বরূপ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের বাড়ির বয়স্ক অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের চিন্তা সব সময় করে থাকেন। তাই আমাদেরও উচিত আমাদের বাড়ির বয়স্কদের অর্থাৎ পিতা-মাতার শারীরিক মানসিক দিক দিয়ে ভালো রাখার জন্য সর্বদা চেষ্টা করা।
তিনি আরো বলেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাদেরকে সম্মান জানানো হয়েছে এই সম্মানে শুধু তারা গর্বিত নয়, এ সম্মানে প্রত্যেকটি পরিবার তাদের জন্য গর্বিত। তাদের পাশাপাশি পরিবারও এর জন্য গর্ববোধ করবেন। সুস্মিতা দাস বলেন, আমাদের উচিত আগামীদিনে আমাদের পিতা-মাতাকে কিভাবে সুস্থ রাখতে পারি সেই দিক দিয়ে চিন্তা ভাবনা করা।