আগরতলা, ১৮ নভেম্বর : বাজেট বরাদ্দ অনুসারে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সোমবার হর্টিকালচার দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। নাগিছড়ায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আগে একটি কনফারেন্স হলের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বাজেটে হর্টিকালচার দপ্তরের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ১৩০ কোটি টাকা। দপ্তরের বেতন বহির্ভূত খাতে এই বরাদ্দ। এই টাকায় দপ্তরের কাজকর্মে এখন পর্যন্ত কতটা অগ্রগতি হয়েছে, অগ্রগতির ক্ষেত্রে কোথায় বাধা রয়েছে, এই বাধা উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ করতে সোমবার নাগিছড়ায় এক পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ।
বৈঠকে হর্টিকালচার দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় ল, দপ্তরের অধিকর্তা ডক্টর ফনি ভূষণ জামাতিয়া সহ ৮ জেলার হর্টিকালচার দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, এ বছর রাজ্যে এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ করা হবে। এতে প্রতি হেক্টর জমিতে ৬০ থেকে ৬৫ মেট্রিক টন আলুর ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পামওয়েল, আনারস, কাঁঠাল, কমলা, আম, আদা, গোলমরিচ ও বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদনেও পর্যালোচনা বৈঠকে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, বর্তমানে টিপিএস সিস্টেমে আলু চাষ করা হচ্ছে। এতে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৩০ মেট্রিক টন আলু পাওয়া যাচ্ছে। এবার এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ করা হবে। তিনি জানান, আলু চাষে আরো উন্নত পদ্ধতি চালু করা হবে। এর ফলে ২০২৭-২৮ অর্থ বর্ষে রাজ্য আলু চাষে স্বয়ম্ভর হয়ে উঠবে বলে জানান তিনি।