খোয়াই, ৭ নভেম্বর : খোয়াই শহরের বিভিন্ন এলাকায় চোরের দৌরাত্ম্যে নাভিশ্বাস উঠেছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাড়িঘরের লোকজনের৷ প্রতিদিন খোয়াইয়ের বিভিন্ন জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটছে৷ পুলিশ চুুরির খবর পেলেই ছুটে যায় এবং তথ্য সংগ্রহ করেই দায় এড়িয়ে যায়৷ পুলিশের এই ভূমিকায় অসন্তুষ্ট খোয়াইয়ের জনগণ৷
বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, নেশায় আসক্ত যুবকরা এইসব চুরির ঘটনার সাথে জড়িত৷ মূলত নেশার টাকা জোগাড় করার জন্যই বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে এবং যা সামনে পাচ্ছে তাই তুলে নিয়ে যায়৷ কখনো নির্জনতার সুযোগে বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ছে, কখনো রাতের অন্ধকারে৷ হাতিয়ে নিচ্ছে যা পাচ্ছে তাই৷ এই পরিস্থিতিতে খোয়াইয়ের জনগণ উদ্বিগ্ণ৷ বুধবার রাতেও খোয়াইয়ের দুর্গানগর কালীবাড়ি এলাকায় এক মাংস বিক্রেতার দোকানে হানা দেয়ে চোরের দল৷ দোকানের মালিক জয়ন্ত ঘোষ জানিয়েছেন, প্রায় চল্লিশ হাজার টাকার পাঠা, মোরগ ইত্যাদি নিয়ে যায় চোরের দল৷ পুলিশকে বিষয়টি জাননো হয়েছে৷
এদিকে, খোয়াই শহরের বিভিন্ন এলাকার জনগণ অভিযোগ করে বলেন, থানা কর্তৃপক্ষ রাতে নামকাওয়াস্তে টহল দিচ্ছে৷ গভীর রাতে এইসব চুরির ঘটনা ঘটছে৷ তাছাড়া, খোয়াই শহরের সিংহভাগ এলাকা বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেরা৷ তাই কাঁটাতারের বেড়ার ওপার থেকেও চোর, ডাকাত এপারে এসে অনায়াসে অপরাধমূলক কাজকর্ম করে পালিয়ে যায়৷ অবিলম্বে এই ব্যাপারে পুলিশকে রাত্রিকালী টহল জোরদার করার পাশাপাশি সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের আরও সক্রিয় নজরদারী চালানোর দাবি জানিয়েছেন খোয়াইয়ের জনগণ৷