কুমারঘাট, ৫ নভেম্বর : দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ হতে চলেছে ফটিকরায় এবং সায়দাবাড়ীর জনগণের। ফটিকরায়ের ইন্দিরা কলোনিতে মনু নদীর উপর নির্মান হতে চলেছে ফুট ব্রিজ। এতে উপকৃত হবেন দুই গ্রামের মানুষ।
ঊনকোটি জেলার ফটিকরায় এবং সায়দাবাড়ীকে বিভক্ত করেছে মনু নদী। বর্তমানে দুই গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে গেলে তাদেরকে কুমারঘাট ঘুরে পৌঁছতে হয় ফটিকরায় বা সায়দাবাড়ীতে। আগে নদীতে নৌকা চলাচল থাকলেও বর্তমানে তাও বন্ধ। এতে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যায় পড়েছেন দুই এলাকার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের। অবশেষে ইতি ঘটতে চলেছে দুই এলাকার মানুষের যাতায়াত সমস্যার।
ফটিকরায়ের ইন্দিরা কলোনিতে মনু নদীর উপর ২০৪ মিটার দীর্ঘ এবং দুই মিটার প্রশস্ত একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি বিরাশি লক্ষ টাকারও বেশি। যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ত দপ্তরকে। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার ফটিকরায়ের ইন্দিরা কলোনিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল সেতুর শিলান্যাস অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক সুধাংশু দাস, ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, ফটিকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিতা দত্ত কর, পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক লক্ষণ দাস সহ অন্যান্যরা।
এদিন প্রদ্বীপ প্রজ্বলন করে ফলক উম্নোচন করেন মন্ত্রী। আলোচনা রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, আগে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে ছিল নিবিড় যোগাযোগ। ছিল বানিজ্যিক সম্পর্ক। কিন্তু কালের বিবর্তনে তা হারিয়েছে। এই ব্রীজ নির্মাণ হলে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক যেমন ঘনিষ্ট হবে তেমনি বাণিজ্যিক বুনিয়াদও সুদৃঢ় হবে। এদিন আলোচনায় মন্ত্রী ফটিকরায়ের বিভিন্ন উন্নয়নের তালিকা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের পর ফটিকরায়ের ব্যাপক উন্নয়ন দেখেছে মানুষ। বর্তমানেও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে চলছে উন্নয়নমূলক কাজ। যার মধ্যে ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ে পাকা দ্বিতল ভবন তৈরীর পরিকল্পনা অন্যতম। বিদ্যালয় ভবন তৈরীর জন্য ইতিমধ্যেই নয় কোটি উনপঞ্চাশ লক্ষ টাকা সরকার বরাদ্দ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তাছাড়া ফটিকরায় এলাকায় একটি সরকারী অতিথি নিবাস তৈরীর জন্য ইতিমধ্যেই আট কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। যার কাজ চলতি বছরেই শুরু করা হবে বলে জানান মন্ত্রী সুধাংশু দাস।