আগরতলা, ১৯ অক্টোবর : পুলিশ হেফাজতে জনৈক অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্যের পুলিশ-প্রধান (ডিজিপি) অমিতাভ রঞ্জনের কাছে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে জরুরি ভিত্তিতে চিঠি পাঠিয়েছে ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশন।
বিচারপতি এসসি দাসের নেতৃত্বে গঠিত ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনে রয়েছেন বিকে রায় এবং ইউ চৌধুরী। ডিজিপিকে প্রেরিত চিঠিতে কমিশন লিখেছে, ‘ত্রিপুরার প্রায় সমস্ত দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে প্রকাশ, সাব্রুম থানার অধীন কালাঢেপার বাসিন্দা জনৈক বাদল ত্রিপুরাকে রবার শিট চুরির অভিযোগে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। থানায় তাকে অকথ্য শারীরিক নির্যাতন করা হয়। নিৰ্যাতনের ফলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’
ডিজিপিকে প্রেরিত চিঠিতে কমিশন আরও লিখেছে, ‘প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী পুলিশি হেফাজতে যেভাবে অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে, সেই অভিযোগগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে। তাই, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজ্যের ডিজিপিকে অবিলম্বে ঘটনার অন্তর্বর্তী তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে বিশদ তদন্ত এবং বিশদ প্রতিবেদন (ডিটেইল্ড ইনকুয়ারি অ্যান্ড ডিটেইল্ড রিপোর্ট) কমিশনে জমা দিতে বলা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, থানায় শারীরিক নির্যাতনের ফলে ১৬ অক্টোবর বাদল ত্রিপুরার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর গোটা রাজ্যের ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ পুলিশ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বাদল ত্রিপুরার মৃত্যুর পর প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।