আগরতলা, ৬ জুলাই : বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সেই দেশের সাথে ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আসামা রাইফেলস, সিআরপিএফ, বিএসএফ, পুলিশ সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ আধিকারীকদের সাথে বৈঠক করেছেন৷ সবগুলি নিরাপত্তা সংস্থাকে পরস্পরে সমন্বয় রেখে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন৷
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত দিল্লীর সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ দিল্লী থেকে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এখানে কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে কি না৷ সমস্যা হলে কি করতে হবে সেই বিষয়েও কথা হয়েছে৷ যেহেতু বিষয়টি পররাষ্ট্র বিষয়ত তাই দিল্লী থেকে যখন যে নির্দেশ আসবে তাই এখানে করা হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অংশের মানুষের বাড়ি ঘরে হামলা হুজুতির ঘটনায়৷ এমনকি বাংলাদেশে বিভিন্ন মন্দিরেও হামলা চালানো হয়েছে৷ এইসব ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের৷ প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশের সাথে ত্রিপুরার আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের উপর কিছুদিন প্রভাব পড়বে৷ তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না৷
প্রসঙ্গত, সংরক্ষণ নিয়ে চলা ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে সোমবার দিল্লীতে পৌঁছেন৷ এদিকে, আন্দোলনকারী হাজার হাজার জনগণ বঙ্গভবনে হামলা চালায়৷ ব্যাপক লুটপাট হয়েছে৷ আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা৷ বহু জায়গায় সংখ্যালঘু অংশের মানুষের বাড়ি ঘরে হামলা চালানো হয়েছে৷ মন্দিরেও হামলা চালানো হয়৷ এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত ভারতের ত্রিপুরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরাদীর চালানো হচ্ছে৷