বিশ্রামগঞ্জ, ২২ জুলাই : গ্রামের একটি রাস্তা বন্ধ করতে এসে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে রেলওয়ে দপ্তর কর্তৃপক্ষ এবং রেলওয়ে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জ থানার অন্তর্গত চেছুড়িমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুয়াছড়ি রেল রাস্তায়।
জানা গিয়েছে, বালুয়াছড়ি রেল লাইনের সঙ্গেই রয়েছে গ্রামবাসীদের চলাচলের একটি রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কৃষ্ণসঙ্গ এবং বালুয়াছড়ি এলাকার শত শত মানুষ এবং কৃষক চলাফেরা করেন এবং মাঠে যায়। কৃষকরা চলাফেরা করে গ্রাম্য এই রাস্তাটি ধরে রেল লাইনের উপর দিয়ে। হঠাৎ করে সোমবার দুপুরবেলা রেলওয়ে দপ্তরের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর দাস রেলওয়ে পুলিশ এবং বিশ্রামগঞ্জ পিডব্লিউডি অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক দেব সহ ঘটনাস্থলে আসেন। রেলওয়ে দপ্তর মোটা মোটা পিলার বসিয়ে গ্রাম্য রাস্তাটি বন্ধ করার চেষ্টা করে।
তাদের অভিযোগ এভাবে রেল রাস্তার উপর দিয়ে চলাফেরা করা নিরাপদ নয়। এটা নিরাপদহীন ক্রসিং। জনজীবন রক্ষার জন্য গ্রাম্য এই মেঠো পথটিকে পিলার বসিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে। যাতে লোকজন রেল লাইনের উপর দিয়ে এভাবে বাইক গাড়ি এবং ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে না যায়। কারণ যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। রেলওয়ে পুলিশ এবং অফিসারদের দেখতে পেয়ে গোটা গ্রামের মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং বাধা দেয় যাতে পিলার বসিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া না হয়। কারণ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন গ্রামের মানুষ চলাফেরা করে। গ্রামের মানুষের বিকল্প আর কোন রাস্তা নেই।
দীর্ঘক্ষণ যাবৎ রেলওয়ে পুলিশ এবং রেলওয়ে দপ্তরের সঙ্গে চলে গ্রামবাসীদের তর্ক-বিতর্ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গ্রামের প্রধান প্রদীপ দেবনাথ এবং বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রধান এসে রেলওয়ে দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামের মানুষ প্রধান সহ জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন। গ্রামের মানুষের বাধা পেয়ে এবং প্রধানের আপত্তিতে গ্রামের মানুষের অসুবিধার কথা বুঝতে পেরে রেলওয়ে দপ্তর পিছিয়ে আসে এবং জানিয়ে দেয় এক সপ্তাহ পরে তারা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য থাকবে।