আগরতলা, ১ জুলাই : সোমবার ১লা জুলাই থেকে সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায়ও তিনটি নতুন আইন চালু হয়েছে। নতুন তিনটি আইনের বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে জনগণ ও আইনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করার জন্য সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। নতুন এই আইনগুলি কার্যকর করার জন্য ইতিমধ্যে ত্রিপুরার ৪ হাজারের উপর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডা. বিশাল কুমার একথা জানান। জেলাশাসক ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার ডা. কিরণ কুমার কে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে আজ থেকে দেশে চালু হওয়া নতুন তিনটি আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার জানান, পুরাতন আইনগুলি বেশীর ভাগই ছিল ১২০ থেকে ১৬০ বছরের পুরাতন। বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতেই এই নতুন তিনটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, বিচার প্রক্রিয়া ত্বারান্বিত করা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রায় ৪ বছর ধরে বিভিন্ন আলাপ আলোচনার শেষে এই আইনগুলি আনা হয়েছে। যাতে করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির পাশাপাশি নাগরিকদের সুষ্ঠু বিচারের মধ্য দিয়ে সঠিক ন্যায় প্রদান করা যায়। তাছাড়া সাজার হারও বাড়ানো যাবে। এই নতুন আইনের কয়েকটি দিক হল, নতুন আইন অনুসারে ঘটনা যেখানেই সংঘটিত হোক না কেন যে কোন জায়গা থেকে এফআইআর করা যাবে। পাশাপাশি ই-এফআইআর-ও করা যাবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ ভারতীয় দন্ডবিধি, ১৮৬০ কে প্রতিস্থাপন করে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ কে প্রতিস্থাপন করে এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম, ২০২৩ ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২কে প্রতিস্থাপন করে।