আগরতলা, ১৪ জুন : জাতপাতের ভেদাভেদের উর্ধ্বে উঠে গিয়ে স্বেচ্ছা রক্তদান হল মানবধর্মের শ্রেষ্ঠ দান। সমাজের প্রত্যেককেই এই মানবধর্ম পালন করা উচিত। কারণ রক্তদানের মাধ্যমেই একে অপরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। যেখানে ধর্ম-বর্ণ- জাতপাতের কোনও স্থান থাকে না। রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার মধ্যে একটা মৈত্রীর বন্ধনও তৈরি হয়। শুক্রবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ মানুষেরই জন্য, তা রক্তদানের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়ে আসছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে রক্তের বিকল্প আবিষ্কার না হওয়ায় একজন মানুষই তার দান করা রক্তের মাধ্যমে আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারেন। তাই রক্তদান হল সমস্ত দানের উর্ধ্বে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একজন ব্যক্তির দান করা রক্তের মাধ্যমে ৩-৪ জন মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে। রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় সরকারি ১২টি ও বেসরকারি ২টি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাব পরিলক্ষিত হয়। রক্তের এই অভাব দূর করতে নির্বাচনের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যব্যাপী রক্তদান শিবির আয়োজন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। রাজ্য সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, ক্লাব সহ সামাজিক সংগঠনগুলি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী সকলকেই আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য দপ্তর ও ত্রিপুরা রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্যদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নিয়মিত তিনজন ও-নেগেটিভ রক্তদাতাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা তাদের হাতে পুষ্পস্তবক ও গাছের চারা তুলে দেন। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১৪ জুন রক্তের গ্রুপ আবিষ্কারের জনক কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের জন্মদিনটিকে স্মরণীয় রাখতে বিশ্বজুড়ে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।