গন্ডাছড়া, ২৯ মে : জীবনের ভুলে অপরাধ জগতের সংস্পর্শে আসার ফলে যুবক এখনও রয়েছে সংশোধনাগারে। দীর্ঘ দশ বছর ধরে পড়াশুনার সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই তার। কিন্তু জেল সুপারিনটেনডেন্ট, মহকুমা শাসক অরিন্দম দাস, মহকুমা প্রশাসনের ডি সি এম অনিন্দ্য চক্রবর্তী এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক থাইসা মগ এই যুবকের জীবনে নতুন দিশা ও আশা সঞ্চার করার জন্য দৃঢ় সংকল্পে কাজে লেগে পড়েন। আর এর ফলে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা সংশোধনাগারে সেই আবাসিক পরিতোষ দাস ৪২.৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে এবছর ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। খুশির আবহ সংশোধনাগারে এবং অবশ্যই মহকুমা প্রশাসনে।
নানা সুযোগ এবং সুবিধা পেয়েও বহু ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। সফলতার গণ্ডি ছুঁতে পারে না। এরকম ছবি প্রতিবছর বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সামনে আসে। আর এখানে এক উজ্জল ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত তৈরি করল পরিতোষ। মহকুমা শাসক, ডি সি এম এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক পরিতোষকে সঠিকভাবে শুধু শিক্ষাই দেননি তার মানসিকতাকে ঠিকঠাক ভাবে তৈরি করতে পেরেছিলেন বলেই এই সাফল্য।
আগামীদিনে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে আবাসিকদের কাছে উদ্দীপনার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে পরিতোষ। তেমনি প্রশাসনের কাছে নতুন দিশার সন্ধান হয়ে উঠতে পারেন গন্ডাছড়ার মহকুমা শাসক, ডি সি এম এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক। প্রয়োজন শুধু পরিচালকদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যতিক্রমী কিছু করার তাগিদ। গন্ডাছড়া সংশোধনাগার গিয়ে পরিতোষ দাসকে শুভেচ্ছা জানান এবং তার সার্টিফিকেট তুলে দেন বিদ্যালয় পরিদর্শক থাইসা মগ এবং ডিসিএম অনিন্দ্য চক্রবর্তী।