গন্ডাছড়া, ১০ এপ্রিল।। ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার প্রত্যন্ত রইস্যাবাড়ী এলাকায় নির্ভয়ে মূল্যবান গাছ কেটে বনাঞ্চল শূন্য করে চলেছে বনদস্যুরা। তবে এবার গাছ নিধনে তথা বনাঞ্চল ধ্বংসের কাজে নেমেছেন একাংশ সরকারী কর্মচারী সহ বহিরাগত ঠিকেদার। কোন এক অজ্ঞাত কারণে বেখবর গন্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ীর বন দপ্তর। খুব সহসাই ওই বনদস্যুদের বিরুদ্ধে পিসিসিএফ -কে ছবি সহ লিখিত ভাবে জানাতে চলেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজাতিরা।
প্রসঙ্গত ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত রইস্যাবাড়ী ব্লকের দ্বিতল অফিস নির্মাণের কাজ চলছে। ওই দ্বিতল অফিস বাড়িটি নির্মাণ কাজটি আরডি দপ্তরের ডাকা টেন্ডারে কাজের বরাত পায় এক বহিরাগত ঠিকেদার। নির্মাণ কাজ শুরুও হয়। রইস্যাবাড়ী ব্লকের দ্বিতলের ওই নির্মাণ কাজ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজাতিরা।
অভিযোগ নির্মাণ কাজে যে সমস্ত ইট বালি ব্যবহার করছেন ঠিকেদার সেইগুলি অত্যন্ত নিম্নমানের। নির্মাণ কাজে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পরিমানে সিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাছাড়া অভিযোগ উঠে আসছে ওই নির্মাণ কাজের ঠিকেদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রইস্যাবাড়ী ব্লকের দ্বিতলের নির্মাণ কাজের শাটারিং, দরজা, জানালার কাজের জন্য যে সমস্ত কাঠ দ্বিতলে আনা হয়েছে সেই সমস্ত কাঠগুলি রইস্যাবাড়ী এলাকার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল থেকে বড় বড় গাছ মোটর চালিত কাটার মেশিন দিয়ে কেটে ব্লকের দ্বিতলে মজুত করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে প্রায় দুইশ ফুট কাঠ শাটারিং -এর কাজে লাগানো হয়েছে। আরো বেশ কিছু কাঠ মজুত রয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই নির্মাণ কাজের সাইড ম্যানেজারের নির্দেশে এখনো বড় বড় গাছ কাটিং -এর কাজ চলছে। ওই নির্মাণ কাজের সুপারভাইজিং অফিসারও যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। কিন্তু রইস্যাবাড়ী এলাকায় লাগাতর বন ধ্বংসের প্রতিযোগিতা চললেও বেখবর কেন রইস্যাবাড়ীর বন কর্মীরা। কেন গভীর নিদ্রায় বন কর্মীরা এই প্রশ্ন গুলি সাধারণ মানুষের। ফলে বন এবং গাছকে বাঁচাতে লিখিত ভাবে রাজ্যের বন দপ্তরের পিসিসিএফের দ্বারস্থ হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন।