আগরতলা, ১০ এপ্রিল।। ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় আসনের জন্য বাড়ি বাড়ি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বুধবার। শুক্রবারও ভোট গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে ৮৫ বছরের উর্ধ, দিব্যাঙ্গজন, সন্দেহজনক কোভিড-১৯ আক্রান্ত এবং সংক্রমিত ভোটাররা ফর্ম ১২ ডি-তে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন তারাই বাড়িতে থেকে ভোট প্রদান করছেন।
এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণের জন্য সেক্টর ভিত্তিক ১ জন সেক্টর অফিসার, ১ জন মাইক্রো অবজারভার, ২ জন পোলিং অফিসার, ১ জন ভিডিওগ্রাফার ও সুরক্ষাকর্মীরা রয়েছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ইচ্ছা করলে তাদের অনুমোদিত ১ জন প্রতিনিধিকে বৈধ পরিচয়পত্র সহ ভোটগ্রহণ কর্মীদের সঙ্গে পাঠাতে পারবেন।
ভোটের হার বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্য বুধবার পশ্চিম ত্রিপুরা সংসদীয় কেন্দ্রের পাশাপাশি রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ৮৫ বছরের বেশি বয়সী এবং কমপক্ষে ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ঘরে ঘরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক তথা রিটার্নিং অফিসার ড. বিশাল কুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে ভোট প্রক্রিয়া পশ্চিম ত্রিপুরা সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় দুই দিন অর্থাৎ ১০ এবং ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। পশ্চিম ত্রিপুরায় প্রক্রিয়াটি চালানোর জন্য মোট ২০০ টি দল গঠন করা হয়েছে যেখানে ৮৫ বছরের বেশি বয়সী এবং দিব্যাঙ্গরা তাদের ভোট দেবেন।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় প্রায় ৯০০০ শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটার এবং প্রায় ৫০০০ ভোটার রয়েছে যারা ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সের শ্রেণিভুক্ত। ড. বিশাল কুমার আরও উল্লেখ করেছেন যে একই দিনে রামনগর উপনির্বাচনের ভোটও সংগ্রহ করা হয়। বুধবার দলটি রামনগর এবং সীমান্ত গোলচক্কর এলাকায় বাড়ি বাড়ি থেকে ভোট সংগ্রহ করার সময় মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা ডঃ পুনীত আগরওয়ালও উপস্থিত ছিলেন।
পুনীত আগরওয়াল বলেন, বাড়ি থেকে ভোট একটি অনন্য এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সুবিধা যা ভারতের নির্বাচন কমিশন দ্বারা চালু করা হয়েছে উচ্চ ভোটের হার নিশ্চিত করার জন্য এবং জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে সাহায্য করার জন্য যারা শারীরিকভাবে ভোট কেন্দ্রে যেতে অক্ষম।এছাড়াও, ১৬ এপ্রিল থেকে পূর্ব ত্রিপুরা সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় দুই দিনব্যাপী ডোর-টু-ডোর ভোটিং শুরু হবে। সিইও আরও যোগ করেছেন যে রাজ্যে নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।