কুমারঘাট, ১০ এপ্রিল।। অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নয় মিলল বাণ্ডিল বাণ্ডিল গাঁজা। নেশা সামগ্রী পাচার বানিজ্যে এমনই অভিনব পন্থা কাজে লাগিয়েছে নেশা কারবারীরা। যদিও পুলিশের সক্রিয়তায় ভেস্তে গেল পাচারকারীদের অভিনব এই উদ্যোগ। ঘটনা ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটে। এই ঘটনায় ২৭২ কেজি শুকনো গাঁজা সহ গাড়ী এবং দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কুমারঘাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বহিঃরাজ্যে পাচার হবে গাঁজা। সেই খবরের ভিত্তিতে বুধবার কুমারঘাট থানার নাকা পয়েন্টে ওৎ পেতে বসে পুলিশ। সন্দেহজনক টিআর০৫-৩১১৫ নম্বরের অ্যাম্বুলেন্স নজরে আসতেই এর পিছু ধাওয়া করে পুলিশ। কুমারঘাটের সিদংছড়া এলাকায় পুলিশ গাড়ীটি আটক করে তাতে তল্লাশি চালাতেই অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে রোগীর বদলে উদ্ধার হয় ২৭২ কেজি শুকনো গাঁজা।
কুমারঘাট থানার ওসি শঙ্কর সাহা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া গাঁজার আনুমানিক কালোবাজারী মূল্য ৫৪ লক্ষ টাকা। সোনামুড়া থেকে আসামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গাঁজাগুলি। এই ঘটনায় টিটন মিয়া এবং মামুন মিয়া নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে গাঁজা এবং গাড়ী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এদিকে এদিন সকালে কুমারঘাট এলাকায় একটি অটোরিক্সা থেকে প্রায় ২৫০ লিটার দেশী মদও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য কুড়ি হাজার টাকা। এই ঘটনায় বিনয় চাকমা নামে এক মদ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে গাঁজা পাচারকাণ্ডে অ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন নম্বরের বেশ কয়েকটি গাড়ীর নম্বর প্লেইট। যা সুযোগ বুঝে সময় সময় পাল্টে ফেলত পাচারকারীরা। গাঁজা এবং মদ উদ্ধারের ঘটনায় মাদক বিরোধী আইনে দুটি পৃথক মামলা নিয়ে তদন্তে নেমেছে কুমারঘাট থানার পুলিশ।