কুমারঘাট, ২৯ মার্চ।। কৃষি দপ্তর থেকে সরকারীভাবে মিলছে না সার, ঔষধ কোনকিছুই। নেই জমিতে সেচের জন্য সরকারীভাবে কোন ব্যাবস্থা। ফসল উৎপাদনে মার খাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষিজীবী অংশের মানুষ। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরার পেঁচারথল ব্লকের অধীন জনার্ধন পাড়ায়।
ঊনকোটি জেলার পেঁচারথল ব্লকের অন্তর্গত এই জনার্ধন পাড়া অঞ্চলটি। এই অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দাদের জীবিকাই কৃষি নির্ভর। বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে শুধুই ডাটা, পটল, মরিচ, করলা, আলু সহ আরো বিভিন্ন ফসলের চাষ। শীতকালীন সমস্ত সব্জি থেকে ধান চাষের জন্যও উত্তম ঐ এলাকার মাটি। মাঠে উৎপাদিত ফসল পাশ্ববর্তী কুমারঘাট, পেঁচারথল, মাছমারা এমনকি কাঞ্চনপুর সহ অন্যান্য বাজারগুলোতে বিক্রি হয় পাইকারী ও খুচরো দামে। আর এই উপার্জন দিয়েই সংসার প্রতিপালন করেন সেখানকার কৃষক পরিবারগুলো।
এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, মানুষের আর্থিক উপার্যন কৃষি নির্ভর হলেও তাদের দিকে ফিরে তাকায় না ত্রিপুরা সরকারের কৃষি দপ্তর। জমিতে ভালো ফলনের জন্য প্রয়োজনীয় সার, ঔষধ কিছুই সরকারীভাবে পান না তারা। জমিতে নেই সরকারীভাবে সেচের ব্যাবস্থা পর্যন্ত। এতে জলের অভাবে জমিতে সঠিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে নিজেদের উপার্জিত অর্থ দিয়েই জমিতে সেচের জন্য পাম্প মেশিন থেকে ফসল ফলানোর প্রয়োজনীয় সার, কিটনাশন সবকিছুই বাজার থেকে কিনে আনতে হচ্ছে চাষীদেরকে।
এতে ফসল উৎপাদনে চাষীরা যেমন লাভের মুখ খুব একটা দেখছেন না তেমনি বাজারেও চড়া দামে সব্জি বিক্রি হওয়ায় পকেটে টান পড়ছে গরীব মধ্যবিত্তের। জনার্ধন পাড়ার কৃষকরা চাইছেন, ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রতি আন্তরিক হোক ত্রিপুরা সরকার। এতে কৃষকরা যখন উপকৃত হবে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে দাম কমবে শাকসব্জির।