কৈলাসহরের সতেরো মিঞা হাওরে রাজ্যের প্রথম ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকুয়া পার্ক গড়ে তোলা হবে : মৎস্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৫ মার্চ।। কৈলাসহর মহকুমার সতেরো মিঞা হাওরে রাজ্যের প্রথম ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকুয়া পার্ক গড়ে তোলা হবে। মোট ১১৫.৮৩ একর এলাকা জুড়ে এই অ্যাকুয়া পার্কটি গড়ে তোলা হবে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস এসংবাদ জানান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকুয়া পার্কটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৯৯.৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকুয়া পার্কটি স্থাপনের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৪২ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকার অনুমোদন দিয়েছে।

এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ ৯০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকারের ১০ শতাংশ। মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে প্রায় ১৩০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। আগামীদিনে এই পার্ক মৎস্যচাষিদের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মৎস্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। তিনি এই পার্ক সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন, এই অ্যাকুয়া পার্ক গড়ে উঠলে এর মধ্যে মাছের পোনা উৎপাদন, বায়ো-ফ্লক কমপ্লেক্স, মাছের খাদ্য, মাছের রোগ নির্ণয় করার ইউনিট, ল্যাব পরিষেবা, ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা, ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাছের উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কোল্ড স্টোরেজ, রেস্টুরেন্ট এবং পর্যটকদের জন্য নৌকা বিহার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের সুবিধা গড়ে তোলা হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় আরও কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, মাছ বিক্রির জন্য ই-রিক্সা, পরিবেশ বান্ধব মৎস্য কিয়স্ক প্রদান ইত্যাদি প্রকল্প রূপায়ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণে মোট ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। এই প্রকল্পগুলিতেও কেন্দ্রীয় সরকারের ৯০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকারের ১০ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে।

তিনি এই প্রকল্প কর্মসূচিগুলির বিস্তারিত তথ্যও তুলে ধরেন। তিনি আরও জানান, এই প্রথমবার রাজ্যে ফিসারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনায় এই বছরের বাজেটে ১৫ কোটি টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে। তিনি জানান, মৎস্য সহায়ক যোজনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ১০০০ মৎস্যচাষিকে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ হাজার মৎস্যচাষিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় প্রতিহিংসামূলক কারণে মৎস্যচাষিদের জলাশয়ের মাছ নষ্ট করে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ঐ সমস্ত মৎস্যচাষিদের সহায়তায় ‘ত্রিপুরা মৎস্য সম্পদ সুরক্ষা’ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য দপ্তর উদ্যোগী হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মৎস্যমন্ত্রী জানান, সারা রাজ্যের ১,৫২৯টি জলাশয়ের সংস্কার করা হবে। এছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা এবং অধিকর্তা সন্তোষ দাস।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?