বক্সনগর, ১৪ মার্চ।। সিপাহীজলা জেলার কলমচৌড়া থানা প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে ব্রাত্য রেখে তল্লাশি অভিয়ান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী অর্থাৎ আসাম রাইফেলস জওয়ানরা। জানা যায়, বুধবার রাত ১০:৩৫ মিনিট থেকে প্রায় ১২টা পর্যন্ত টানা দেড় ঘন্টা বক্সনগর পূর্ব পাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল হকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী অর্থাৎ আসাম রাইফেলস জওয়ানরা। যদিও এই অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় থানা প্রশাসন কোনো রকমের অবগত ছিলেন না বলে খবর।
থানা প্রশাসনকে অবগত না করেই এমন অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের নামে নুরুল হকের বাড়ির বিভিন্ন স্থানে গর্ত করা হয়েছে। তার ঘরে আলমারির ভিতরে থাকা বিভিন্ন জিনিস পত্র লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির মালিক সহ লোকজনদের মোবাইল ফোন জোর পূর্বক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে কারোর কাছে মোবাইলে যোগাযোগ করতে না পারে। এমনকি বাড়ির লোকজনদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে রেখে জয়ানদের ইচ্ছে মতো অভিযান চালানো হয়েছে। বাড়ির মালিক সহ লোকজনরা কিছু বলতে চাইলে তাদেরকে ধমকি দেওয়া সহ বন্ধুক উচিয়ে গুলি করে দেবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
যদিও টানা এই দেড় ঘন্টার অভিযানে কোনো কিছু না পেয়ে জওয়ানরা বাড়ির মালিক নুরুল হকের কলেজ পড়ুয়া ছোট ছেলে কাউসার মিয়ার ব্যবহৃত বিদেশ থেকে উপহার পাওয়া দামী হাত ঘড়ি নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ছিল তিন হাজার সাতশত টাকা বলে জানানো হয়। তবে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বাড়ির মালিকের বড় ছেলে বাবু সালাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মোট চল্লিশ থেকে পয়তাল্লিশ জন জওয়ানের উপস্থিতি ছিল তাদের বাড়িতে। তাদের গায়ে আসাম রাইফেলস এর পরিহিত পোশাক ছিল এবং তাদের সাথে সিভিল পোশাকে ছিল প্রায় দশ থেকে পনেরো জনের মতো।
অভিযান চলাকালীন তারা বাড়ির মালিক সহ লোকজনদের সাথে অতি দুর্ব্যবহার করে এবং তল্লাশি অভিযান শেষে জোর পূর্বক ভাবে বাড়ির মালিক নুরুল হকের কাছ থেকে কোনো একটি কাগজে লিখিত সই নিয়ে নেয়। যদিও নুরুল হক কাগজে সই দিতে অস্বীকার করলেও তারা জোর পূর্বক ভাবে সই নিয়ে নেয়। তবে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে সাংবাদিকদের তরফে স্থানীয় কলমচৌড়া থানা প্রশাসনে যোগাযোগ করা হলে থানার ওসি প্রশান্ত কুমার দে এই ঘটনার কিছুই জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে কেন এই অভিযান চালানো হয়েছে এনিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা ধরনের গুঞ্জন। ধারণা করা হচ্ছে নেশা সামগ্রী চোরাচালান সম্পর্কিত কোন তথ্য জওয়ানদের কাছে ছিল তাই এই অভিযান বলে মনে করছেন তথ্যাভিজ্ঞ মহল।