বিলোনিয়া, ১৪ মার্চ।। স্ত্রীর অবৈধ প্রেম। রক্তাক্ত হল স্বামী। স্বামীর অবর্তমানে চলে প্রেমিকের সাথে চলে স্ত্রীর ফষ্টিনষ্টি। প্রেমিকের সাথে ঘনিষ্ঠতা স্বামীর চোখে ধরা পড়ে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করায় রক্তাক্ত হলেন স্বামী মান্নান মিয়া। স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজনেরা নাকি রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিল মান্নান মিয়াকে এমনই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া থানাধীন আমজাদ নগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এক বৎসর পূর্বে রাজনগরের পিআর বাড়ী থানার অন্তর্গত সমর নগরের রাবিয়া বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় মান্নান মিয়া। বিয়ের কিছুদিন পরই মান্নানকে ফুসলিয়ে স্ত্রী রাবিয়া বেগম তার বাপের বাড়ীতে নিয়ে চলে যায়। শ্বশুরবাড়িতেই মান্নান স্ত্রীর সাথে থাকে। পেশায় দিন মজুর মান্নান।
বুধবার রাতে কাজ শেষে বাড়ী ফিরে দেখেন তার স্ত্রী অন্য এক ব্যাক্তির সাথে ঘনিষ্ট ও আপত্তিকর অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাটি দেখার পরই মান্নান বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করে। পাশাপাশি এর আগেও দু-তিনবার মান্নানের স্ত্রীকে পর পুরুষের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানায়। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। একই অবস্থা বুধবারও দেখার পর সে প্রতিবাদ করে।
প্রতিবাদ করায় মান্নানের শ্বশুড় বাড়ীর আত্মীয় পরিজন মিলে মান্নানের উপর আক্রমণ চালিয়ে রক্তাক্ত করে দেয়। কিছু মানু্ষ ঘটনা টের পেয়ে এগিয়ে আসে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় মান্নানকে প্রথমে বড়পাথরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিলোনিয়া হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় চিকিৎসক।
বিলোনিয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মান্নানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তৎক্ষনাত তাকে দক্ষিণ জেলা হাসপাতাল শান্তিরবাজারে রেফার করা হয়। অভিযোগ দেলো মিয়া, আলিয়ার শপ, সুমন মিয়া মিলে মান্নানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। এদিকে মান্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করা হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।