তেলিয়ামুড়া, ২৯ ফেব্রুয়ারী।। চার সন্তান ও স্বামীকে ছেড়ে পরপুরুষের হাত ধরে পালিয়ে গেল গৃহবধূ। ঘটনা খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়ার বাইশঘরিয়ায়। স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে অবশেষে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করলেন স্বামী।
জানা গিয়েছে, ১৩-১৪ বছর পূর্বে তেলিয়ামুড়া থানাধীন বাইশঘরিয়া এলাকার শঙ্কর দাস উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের লিপিকা মালাকারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এত বছর সুখের সংসার চলছিল এবং তাদের সংসারে চার সন্তানের জন্ম হয়। যাদের মধ্যে তিনজন মেয়ে এবং একজন ছেলে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে লিপিকা মালাকার প্রশনজিৎ দেবনাথ নামের এক পরপুরুষের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন।
৭দিন পূর্বে স্বামী শঙ্কর দাস কাজে বেরিয়ে গেলে তিনি বাড়িতে আসার সময় লক্ষ করতে পারেন উনার স্ত্রী মোবাইলে রিচার্জ করে ওই পরপুরুষের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তখন তিনি তা সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীর হাত থেকে মোবাইল নিয়ে মোবাইলটি ভেঙে দেন। পরবর্তীতে উনার স্ত্রী ওইখানে থেকে চলে গেলে ওইদিন আর বাড়িতে ফিরেনি। পরবর্তীতে অসহায় স্বামী তার চার সন্তানকে নিয়ে স্ত্রীর খোজে তেলিয়ামুড়া থানা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রধান, উপপ্রধান সহ স্ত্রীর বাবার বাড়িতে ঘটনাটি জানিয়েছেন। কিন্তু আজ প্রায় ৭ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও চার সন্তানকে নিয়ে হন্যে হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন কিন্তু কেউ এই উনার স্ত্রীর খোজ দিতে পারছেন না।
পরবর্তীতে তিনি বৃহস্পতিবার দিশেহারা হয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানান। তিনি জানান তার স্ত্রী চলে যাওয়ার পর তেলিয়ামুড়া থানার দ্বারস্থ হলেও থানা পুলিশ আজ ৭ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে পারেননি। তিনি অসহায় হয়ে জানিয়েছেন যে, তার স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে উনার ঘরে রান্না করে সন্তানদের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার মতো কেউ নেই। যার কারণে প্রায় ৭দিন যাবৎ অভুক্ত রয়েছেন তিনি ও তার ছোট ছোট চার সন্তান। তিনি আরো জানিয়েছেন যে তার স্ত্রীর এই চলে যাওয়ার পেছনে প্রশনজিৎ দেবনাথ নামে এক যুবকের হাত রয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখেন প্রশাসন যেন উনার স্ত্রী কে খুজে পুনরায় উনার কাছে ফিরিয়ে দিয়ে উনাকে সহযোগিতা করেন।