আগরতলা, ২৬ ফেব্রুয়ারী।। লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও একবার চাপের রাজনীতিতে নামলেন ত্রিপুরার জনজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দল তিপ্রা মথার প্রতিষ্ঠাতা তথা দলের প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা৷ ২৯ ফেব্রুয়ারী বড়মুড়ায় আমরণ অনশনে বসার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই সিদ্ধান্তেই অনঢ় রয়েছেন প্রদ্যোৎ৷ বিভিন্ন মহল থেকে গুঞ্জন উঠেছিল যে দিল্লীতে গিয়ে হয়তো কোন সমাধান সূত্র বের হয়ে যাবে এবং অনশন প্রত্যাহার করে নেবেন তিনি৷ কিন্তু, সোমবার দিল্লী থেকে ফিরে প্রদ্যোৎ জানিয়েছেন যে তিনি আমরণ অনশনে বসছেনই৷
প্রদ্যোৎ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যতক্ষণ না পর্যন্ত লিখিতভাবে কোন কিছু দিচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি আমরণ অনশন প্রত্যাহার করবেন না৷ তিনি বলেন, তাঁর আন্দোলন মূলত রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়৷ তাঁর আন্দোলন জনজাতি অংশের মানুষের অস্তিত্বের জন্য, তাদের অধিকারের জন্য৷ আর এই অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি কোনও ধরনের আপোষ করবেন না৷ জনজাতি অংশের জনগণের সাথে কোনও প্রতারণা করতে পারবেন না৷ দিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে তাঁর আলোচনা হয়েছে কিন্তু, কোন লিখিত আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি তিনি পাননি৷ তাই বড়মুড়া তথা হতাই কতরে তাঁর প্রস্তাবিত আমরণ অনশন ২৯ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছেই৷
প্রদ্যোৎ উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা বিশেষে করে জনজাতি অংশের নেতৃত্বরা বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রাখছেন৷ ওইসব নেতাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদ্যোৎ বলেন, তাদের মনে কি আছে এবং মাথায় কি আছে সেটাই বোঝা যাচ্ছে না৷ তিনি বিজেপি এবং আইপিএফটির বিভিন্ন নেতা মন্ত্রিদের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন৷ মূলত তিনি কথা বলতে চান সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন জনজাতি অংশের মানুষের অধিকার এবং অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য৷
এদিকে, বড়মুড়া পাহাড়ে তথা হতাই কতরে প্রদ্যোৎ কিশোরের আমরণ অনশন মঞ্চ তৈরীর কাজ চলছে৷ তিপ্রা মথার বিভিন্ন নেতৃত্বরা সেখানে কাজকর্ম খতিয়ে দেখছেন৷ পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারীকরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মনের এই আমরণ অনশন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে৷ সমালোচকরা বলছেন, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড, রোমান হরফ, সাংবিধানিক সমাধান এসব নিয়ে প্রদ্যোতের জারিজুরি ফ্লপ হচ্ছে৷ মথায় ব্যাপক হারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে৷ তাই জনজাতি অংশের জনগণের ভাবাবেগে জায়গা করে নিতেই স্বঘোষিত বুবাগ্রা তথা প্রদ্যোৎ আমরণ অনশনের পথেই হাটতে চলেছেন৷