বিশালগড়, ২২ ফেব্রুয়ারী।। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া গৃহবধূ ফিরে এসে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করলেন থানায়। গত শনিবার প্রিয়া সরকার নামে এক তরুণী গৃহবধূ সেকেরকোট পান্ডবপুর সন্ন্যাসী পাড়াস্থিত স্বামীর বাড়ি থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। পরে স্বামী ও বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে আমতলী থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমে সেই নিখোঁজ সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল। গৃহবধু প্রিয়া সরকার সেই সংবাদ দেখতে পেয়ে তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসে এবং গৃহবধূ প্রিয়া সরকার স্বামী অভিজিৎ দাস এবং শাশুড়ি কমলা দাসের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় লিখিত আকারে নির্যাতনের মামলা দায়ের করে।
ওই গৃহবধুর অভিযোগ ২০২০ সালে সেকেরকোট পান্ডবপুর সন্ন্যাসী পাড়ার অভিজিৎ দাসের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছিল তার। বিয়ের পর থেকেই স্বামী অভিজিৎ দাস এবং শাশুড়ি কমলা দাস বাবার বাড়ি থেকে টাকা এবং সোনার গয়না আনার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে কোনদিনও প্রতিবাদ করেনি ওই গৃহবধূ। দিনের পর দিন তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়তেই থাকে। এরই মধ্যে গত শনিবার গৃহবধূ প্রিয়া সরকারকে তার স্বামী ও শাশুড়ি পুনরায় নির্যাতন শুরু করে এমনকি খুন করারও হুমকি দেয়।
পরে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। সংবাদের জেরে গৃহবধূ প্রিয়া সরকার তার বাবার বাড়িতে ফিরে এসে স্বামী অভিজিৎ দাস এবং শাশুড়ি কমলা দাসের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় লিখিত আকারে মামলা দায়ের করে। পুলিশ নির্যাতিতা গৃহবধূকে আশ্বাস দিয়েছে আইন অনুসারে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে নির্যাতিতা গৃহবধূ স্বামী ও শাশুড়ির কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে। সে জানিয়েছে তার স্বামী ও শাশুড়িকে এমন শাস্তি দেওয়া হোক যাতে করে তার মত আর কোন গৃহবধূকে এইভাবে যেন নির্যাতিতা না হতে হয়।