আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারী।। শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের তিন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ ৯ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ রাজধানী আগরতলা শহরে স্বর্ণ চোরাচালানের একটি চক্র সক্রিয় আছে বলে তথ্য পেয়ে পুলিশ মহরাষ্ট্রের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে আগরতলা শহরের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে৷ ধৃত যুবকের নাম সন্তোষ সীতারাম সিন্ধে৷
পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে শহরের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে স্বর্ণ গলানোর কাজে যুক্ত সন্তোষ সীতারাম সিন্ধে৷ সে প্রায় দুই বছর যাবৎ এখানে কাজ করছে৷ আগরতলা রেল স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে নগদ ৯ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা সহ যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ তাদের সাথে সন্তোষের যোগাযোগ ছিল৷ প্রত্যেকেই নিকটাত্মীয়৷ মূলত স্টেশন থেকে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ সন্তোষ সীতারাম সিন্ধের নাম জানতে পেরেছে৷ স্টেশনে ধৃত তিনজন বর্তমানে পুলিশকে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী আগরতলা শহরে স্বর্ণ চোরকারবারের একটি বড় চক্র সক্রিয় রয়েছে৷ আর এই চক্রের সাথে মহরাষ্ট্রের এই চারজন সহ আরো কয়েকজন রয়েছে৷ তদন্তের স্বার্থে নামধাম প্রকাশ করতে চায়নি পুলিশ৷
প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারী শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের তিন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ ৯ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ৷ আগরতলা স্টেশনস্থিত জিআরপি থানার পুলিশ এবং আরপিএফ৷ ধৃতদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং একজন পুরুষ৷ তাদের বাড়ি মহারাষ্ট্রে৷ কোথা থেকে এত টাকা নিয়ে এসেছে এবং কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল৷
১৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে আগরতলা স্টেশনের জিআরপি থানার পুলিশ এবং আরপিএফ যৌথভাবে রেলে তল্লাসি চালাচ্ছিল৷ তখন তিনজন যাত্রীকে পুলিশের সন্দেহ হয়৷ পুলিশ তাদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাসি চালিয়ে নগদ ৯ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে৷ ধৃতরা হল করিশ্মা ওয়াগমোডে এবং তার স্বামী সুধীর ওয়াগমোডে৷ তাছাড়া আরও এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে৷ তার নাম সীমা সিন্ধে৷ প্রত্যেকের বাড়ি মহারাষ্ট্রে৷ পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারী ধর্মনগর রেল স্টেশনে জিআরপি থানার পুলিশ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে তল্লাসি চালিয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় নগদ ৬৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল৷ আগরতলা স্টেশনে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে ওই টাকার সাথে তাদের কোন যোগাযোগ রয়েছে কি না৷