আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি।। আবারও চাকরির দাবীতে শিক্ষা ভবনে গেলেন টেট উত্তীর্ণ বেকার যুবক যুবতীরা৷ বৃহস্পতিবার শিক্ষা ভবনে অধিকর্তার সাথে দেখা করার জন্য গেলেও সাফল্য মিলেনি৷ কারণ, এদিন অধিকর্তা অফিসে ছিলেন না৷ ডেপুটেশন দিতে না পেরে ব্যর্থ মনোরথে ফিরে আসতে হয়েছে বেকার যুবক যুবতীদের৷
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৬১ জন৷ কিন্তু আজও তাদের নিয়োগ করা হয়নি৷ বহুবার তারা শিক্ষা ভবনে গিয়ে অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন দিয়েছেন৷ কিন্তু, কোন সদুত্তর পাননি৷ হন্যে হয়ে ঘুরছেন তারা৷ শিক্ষামন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করারও চেষ্টা করেছেন৷ এই অবস্থায় কোন রাস্তা না পেয়ে তারা বারবার শিক্ষা ভবনেই যাচ্ছেন৷ ধর্না দিচ্ছেন, ডেপুটেশন দিচ্ছেন৷
সদ্য সমাপ্ত রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়৷ তখন শিক্ষামন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা জানিয়েছেন, টেট ওয়ান ১ হাজার ৬১৫ জন এবং টেট টু-তে ১ হাজার ৬৪৩টি শূণ্যপদ রয়েছে৷ কিন্তু, নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রয়েছে৷ কারণ টেট ওয়ানে অস্নাতক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের বিজ্ঞপ্তি পাতিল করে দিয়েছে ২০১৮ সালের ২৮ জুন৷ নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে৷ অন্যদিকে, টেট টু-তে স্নাতক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন থেকে বিজ্ঞপ্তি পাওয়া গিয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রিক্রুটম্যান্ট রুলসে কিছু সংশোধন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যা দপ্তরের প্রক্রিয়াধীন৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষক সংকটের কারণে বহু স্কুলে পঠন পাঠন মারাত্মকভাবে ব্যাহল হচ্ছে৷ প্রতিনিয়ত কোন না কোন স্কুলে তালা দেয়া হচ্ছে৷ রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে৷ মারাত্মক সমস্যায় আছেন টেট উত্তীর্ণ বেকার যুবক যুবতীরা৷ অনেকেই প্রায় বয়সোত্তীর্ণ হতে চলেছেন৷ রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামো আগের তুলনায় অনেকটাই সময়োপযোগী করা হয়েছে৷ কিন্তু, শিক্ষক সল্পতার কারণে পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে উদ্বিগ্ণ অভিভাবকরা৷