গ্রামীন ক্রীডার মান উন্নয়নে রাজ্যে ৪১ টি ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টার চালু করা হয়েছে : ক্রীড়ামন্ত্রী

আগরতলা, ৮ জানুয়ারি।। গ্রামীন ক্রীড়ার মান উন্নয়নের পক্ষে রাজ্যে ৪১ টি ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তের খেলোয়াড়রা উন্নত মানের প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা দেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণ করে রাজ্যের সুনাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবে। আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় এ কথা জানান। বিধানসভায় ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা স্কুল স্পোর্টস বোর্ড পরিচালিত রাজ্যভিত্তিক স্কুলপ্তরের ক্রীড়ায় জয়ীদের বছরে ১,২০০ টাকা স্টাইপেন্ড প্রদান করা হয়। ত্রিপুরা স্কুল স্পোর্টস বোর্ডের বার্ষিক কর্মসূচিতে জনজাতিদের মধ্যে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক নয়ন সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় জানান, পানিসাগরে আঞ্চলিক শারীর শিক্ষা কলেজে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে এবং সিল্কেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। বাধারঘাটে দশরখ দেব স্টেট স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক মানের মিল্কেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক ও সিম্বেটিক হকি মাঠ নির্মাণের কাজ চলছে। বিধানসভায় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী জানান, খোয়াই দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে আন্তর্জাতিক মানের সিল্কেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। জম্পুইজলায় সুধন্য দেববর্মা স্মৃতি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে আন্তর্জাতিক মানের সিল্কেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ নির্মাণের কাজ চলছে। এন. এস.আর.সি.সি.তে উন্নতমানের বাস্কেটবল মাঠ তৈরি করা সহ তেলিয়ামুড়াতে একটি মাল্টিপারপাস স্পোর্টস হল নির্মাণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিধানসভায় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ব্লকগুর থেকে রাজ্যস্বর পর্যন্ত জুডো, সার্ভার এবং অ্যাথলেটিক্স এই তিনটি ইভেন্টকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে প্রতিযোগিতার আযোজন করা হযেছে। আতীয় স্তরে খেলোয়াড়দের মান উন্নয়নের জন্য জাতীয় প্রতিযোগিতায় দল পাঠানোর পূর্বে আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার পক্ষো এবং সুপ্ত জীবনশৈলী অভ্যাসের জন্য সারা রাজ্যব্যাপী খেলো ত্রিপুরা সুস্থ ত্রিপুরা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর অঙ্গ হিসেবে সারা রাজাব্যাপী নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নানা ধরনের গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করার জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বরে

পদকজয়ীদের জন্য ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিভাশালী পুরস্কার প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। বিধানসভায় ক্রীডামন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ৮ টি জেলায় মোট ১৩ টি ঘোলা ইন্ডিয়া সেন্টারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ৬ টি সেন্টারে চুক্তিবদ্ধ কোচ (প্রশিক্ষক) নিয়োগ করে সেন্টারে চালু করা হয়েছে। অবশিস্ট ৭ টি সেন্টারের জন্য কোচ নিয়োগ করে চালু করা হবে। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) স্টেট সেন্টারে জাতীয় ও আন্তরজাতিক মানের জুড়ো, এথলেটিক্স, সুইমিং, ফুটবল ও জিমন্যাস্টিক্স এই পাঁচটি বিভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?