ধর্মনগর, ৪ জানুয়ারি।। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন জনমুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় গৌরনগর ব্লক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্বসহায়ক দলের সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিদেশ ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মিনাক্ষী লেখি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের আগে ভারতের গ্রামীণ এলাকায় বিশেষ করে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা খুবই নগন্য ছিল। তারা তাদের উপার্জিত অর্থের বেশীর ভাগটাই বাড়িতেই রাখতেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশেষ করে মহিলাদের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার দিকে বিশেষভাবে নজর দেন। এর সুফলও এখন গরীব অংশের মানুষজন উপলব্ধি করতে পারছেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান সরকার স্বসহায়ক গোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে বিশেষ করে মহিলাদের আত্মনির্ভর করার দিকে নজর দিয়েছে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বসহায়ক দলগুলির মাধ্যমে ২ কোটি লাখপতি দিদি করার পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনা সফল করে তোলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কেন্দ্রীয় বিদেশ ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের জন্য কেন্দ্র সরকার অনেকগুলি পেনশন প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ৬০ বছর বয়সের পর বেনিফিসিয়ারীরা এই পেনশন প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবেন।
স্বসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্য সদস্যাদেরও এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। সভায় তিনটি স্বসহায়ক দলকে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। সভায় তিনজন লাখপতি সদস্যার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মত বিনিময় করেন এবং ত্রিপুরায় স্বসহায়ক গোষ্ঠীগুলির কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সভায় রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক রাজীব দত্ত, অতিরিক্ত জেলাশাসক এল দার্লং, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বসহায়ক দলের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় বিদেশ ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মিনাক্ষী লেখি ঊনকোটি সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে ঊনকোটি জেলায় যে সমস্ত কাজকর্ম হচ্ছে তার পর্যালোচনা করেন। বৈঠকে রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায়, ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, সহকারি সভাধিপতি শ্যামল দাস, জেলাশাসক রাজীব দত্ত, অতিরিক্ত জেলাশাসক এল দার্লং, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, কুমারঘাট ও কৈলাসহর মহকুমার মহকুমা শাসক এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাসহর মূল শহর সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার চেক পোস্ট এবং শ্রীরামপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার চেক পোস্ট, শ্রীরামপুরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে নির্মিত জয়ন্ত দেবনাথের ঘরটি পরিদর্শন করেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ঊনকোটি প্রত্নতাত্বিক পর্যটন কেন্দ্রটিও পরিদর্শন করেন।