গন্ডাছড়া, ৪ জানুয়ারি।। ফের ধলাই জেলার গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তরের বিভিন্ন কাজকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বাঁকা পথে ঠিকেদারকে মুনাফা পাইয়ে দিতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা। পূর্ত দপ্তরের এহেন ভূমিকায় বেজায় ক্ষোব্ধ মহকুমার লোকজন।জানা গিয়েছে, ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন স্থানে লোহার ব্রেইলি ব্রিজের সংখ্যা প্রায় বারোটি। ওই সবকয়টি ব্রিজ দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ার ফলে ব্রিজের লোহাগুলিতে জং ধরতে শুরু করেছে। ওই জং ধরা ব্রেইলি ব্রিজগুলিতে রং দিয়ে ব্রিজগুলিকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় ধলাই জেলার পূর্ত দপ্তর। ধলাইয়ে সম্পন্ন হয় টেন্ডারের কাজ।
টেন্ডারে গন্ডাছড়া মহকুমার সবকয়টি ব্রেইলি ব্রিজে রং দেওয়ার কাজটি পায় ধলাই জেলার আমবাসার জনৈক ঠিকেদার। গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রং করার কাজে টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী প্রথমত ব্রিজের সমস্ত লোহাগুলিতে শিরিস কাগজ ঘষতে হবে। এরপর দিতে হবে উন্নত মানের প্রাইমার। প্রাইমার দেওয়ার দুই এক দিন পর দিতে হবে রং। অভিযোগ উল্লেখিত শর্তগুলির মধ্যে একটিও মেনে কাজ করছেন না ওই ঠিকেদার।
নাগরিকদের অভিযোগ এখন পর্যন্ত যেসব ব্রেইলি ব্রিজের রং দেয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে সেই ব্রিজের যন্ত্রাংশগুলিতে দেওয়া হয়নি শিরিস কাগজ। দেওয়া হয়নি প্রাইমার। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ দুই তিনজন করে লোক এসে ব্রিজগুলিতে ঝাড়পোছ করে অত্যন্ত নিম্নমানের রং মেখে কাজ শেষ করে নিচ্ছেন ধলাই জেলার নামিদামি ঠিকেদার।
জানা গিয়েছে পূর্ত দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় নিম্নমানের কাজ করে মোটা অংক হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীদের দাবী গন্ডাছড়া মহকুমায় যে কয়েকটি ব্রিজে নিম্নমানের কাজ করেছেন সেইগুলি পুনরায় ইঞ্জিনিয়ারদের সামনে রেখে কাজ করতে হবে। নতুবা ওই কাজের ঠিকেদারের বিল আটকে দেওয়া হোক।