বক্সনগর, ৪ জানুয়ারি।। অনেকদিন ধরেই গবাদি পশু চুরির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায়। এই চুরির ঘটনায় অতিষ্ঠ গৃহস্থরা। কোন মতেই গবাদি পশু চুরির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না পুলিশ প্রশাসন। এর মধ্যে সবচাইতে বেশি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বিশালগড় মহকুমা জুড়ে।জানা গেছে গত কিছুদিন আগে কাঞ্চনমালা এলাকায় এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে কয়েকটি গরু চুরি হয়।
এই গরু চুরির ঘটনায় সোনামুড়া মহকুমার মেলাগর থানার মেলাঘর ইন্দিরা নগরের ইমরান হোসেনকে দোষারোপ করা হয়। এদিকে ইমরান হোসেনের অভিযোগ ইমরান হোসেন কোনভাবে জড়িত নয় এই গরু চুরি কাণ্ডে। ইমরান হোসেন আরো বলেন, যে সিসি টিভি ফুটেজে ইমরান হোসেনের গাড়ি দাবি করা হয়েছে এই গাড়ি ইমরান হোসেনের নয়। কেউ না কেউ ইমরানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে ইমরানের নেই কোন ছবি, কোন তথ্যই মিলেনি তার বিরুদ্ধে। জানা যায় মেলাঘর ইন্দিরা নগর কলোনি এলাকায় আজ থেকে সাত আট বছর আগে এক বাড়িতে গরু চুরি হয়। তখনকার সময়ে ইমরানের না ছিল গাড়ি, না ছিল কোন কিছু। কিন্তু আজ হঠাৎ এই এলাকার কয়েকজন লোক ইমরানের বাড়িতে এসে বলছে তাদের গরু নাকি চুরি করেছে আট বছর আগে ইমরান। তাদের নাকি গরু চুরির জরিমানা দিতে হবে।
এমন খবর শোনার পর অসহায় ইমরানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। তবে এলাকার আশেপাশের মানুষ জন এই বিষয়টি শোনার পর অনেকেই বিষয়টি হাস্যকর ভাবে নিয়েছেন। এখন অসহায় ইমরানের এমন এক করুন পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে যে, রাজ্যর কোথাও না কোথাও গরু চুরি হলে ইমরানের নাম পড়ছে। এখানেই শেষ নয় কিছুদিন আগেই কাঞ্চনমালা গরু চুরি কাণ্ডে ইমরান হোসেনের নাম জড়িত করেছেন বিদেশে থাকা মধুবন এলাকার বাবুল নামে এক যুবক।
কিন্তু সেই বাবুল দীর্ঘ অনেক বছর ধরেই গরু চুরির সাথে জড়িত ছিল বলে খবর। একবার ধরা পড়ে বর্তমানে সে বিদেশে পাড়ি দেয়। কিন্তু এদিকে ইমরান হোসেন কোন কিছু উপায় না পেয়ে অবশেষে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হন। সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে তিনি যে চুরির সাথে কোন জড়িত নয় এই বিষয়ে ঘটনার বিস্তারিত বলেন। তিনি এও বলেন চুরির সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। যারা জড়িত রয়েছেন তদন্ত করে পুলিশ প্রশাসন যেন তাদের কঠোর শাস্তি প্রদান করেন।