অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পার করল ৪ হাজারের গণ্ডি। করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। তাই বড়দিন, বর্ষবরণের ভিড়কে মাথায় রেখে দেশজুড়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসনও।
সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হল, দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার পেরিয়ে গেল। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪। ২৪ ঘণ্টা আগে যা ছিল ৩,৭৪২। এর মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কেরলে। এই রাজ্যেই প্রথম জেএন.১-এর হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একদিনে সেখানে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১২৮। যার জেরে শুধু কেরলেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০০০ টপকে গেল।
গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে মারণ করোনা ভাইরাস কেড়েছে একজনের প্রাণ। ফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩৪। যদিও এর মধ্যে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩১৫ জন। তবে করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১ নতুন করে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্রের থানেতে গত ৩০ নভেম্বরের পর যে ২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচজনই জেএন.১-এর উপরূপে আক্রান্ত বলে খবর। তার মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। যদিও কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি।
ইন্ডিয়া-সার্স-সিওভি২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়ামের প্রধান ড. এন কে অরোরা জানিয়েছেন, জেএন.১-এর সঙ্গে লড়তে কোনও আলাদা টিকা নিতে হবে না। বরং তিনি জোর দিয়েছেন সাবধানতায়। বিশেষ করে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে অথবা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম কড়া ওষুধ খান তাঁদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত সর্বত্র বাধ্যতামূলক না হলেও ভিড় এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।