মেলাঘর, ১ ডিসেম্বর।। এক পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যুতে গোটা গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার মেলাঘর থানার অধীন ঠাকুরপাড়ায়৷ বাবা, মা ও মেয়ের মৃতদেহ ঘরের মধ্যে বিছানায় উদ্ধার হয়েছে শুক্রবার সকালে৷ প্রতিবেশীরা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে৷
জানা গিয়েছে, মেলাঘর ঠাকুরপাড়া স্কুলের পাশেই চিন্তাহরণ পালের বাড়ি৷ স্ত্রী প্রতিভা পাল এবং মেয়ে মনিকা পাল৷ তিনজনের সংসার৷ কুড়ি বছর আগে ছেলে প্রতিবেশীর পুকুরের জলে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল৷ চিন্তাহরণ পেশায় মৃতশিল্পী৷ প্রতীমা তৈরী করে জীবনযাপন করেন৷ পাশাপাশি ঠাকুরপাড়া স্কুলে মিড-ডে-মিলের কাজেও যুক্ত আছেন৷ শুক্রবার স্কুল শুরু হয়ে গেলেও চিন্তাহরণ স্কুলে যায়নি৷ তাই স্কুল থেকে একজন কর্মী তাঁকে ডাকতে বাড়িতে আসেন৷ বহুবার ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান৷ প্রতিবেশীরা এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে খোলা হয়৷ দরজা খুলে দেখা যায় ভিতরে বিছানার উপর বাবা চিন্তাহরণ পাল, স্ত্রী প্রতিভা পাল এবং মেয়ে মনিকা পালের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ বিছানার উপরই একটি থাল পড়ে রয়েছে৷
একসাথে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন৷ পরে খবর দেয়া হয় মেলাঘর থানায়৷ পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম সেখানে পৌঁছে৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আশঙ্কা করা হয়েছে তিনজনই একসাথে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে৷ তবে পুরো বিষয়টি পরিস্কার হবে যখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসবে৷ এদিকে, মৃত ব্যক্তি চিন্তাহরণ পালের ভাই গৌরাঙ্গ পাল সহ অন্যান্য নিকটাত্মীয়রাও কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে বা কেন তাদের এই মৃত্যু৷ আর্থিক অনটনের মতো কোন বিষয় আছে বলে মনে করছেন না নিকটাত্মীয়রা৷ এমনকি মেয়ে মনিকা পাল দিব্যাঙ্গন হওয়া সত্ব্যেও স্নাতকের ছাত্রী ছিল৷