স্টাফ রিপোর্টার, কুমারঘাট, ৩০ অক্টোবর।। না ফেরার দেশে চলে গেলেন ত্রিপুরার কংগ্রেস-টিইউজেএস জোট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতৃত্ব সুনিল চন্দ্র দাস। দীর্ঘ রোগভোগের পর সোমবার কুমারঘাটস্থিত নিজ বাড়ীতেই প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। পরে যোগদেন জাতীয় কংগ্রেস দলে। ত্রিপুরায় কংগ্রেস-টিইউজেএস জোট আমলে ১৯৮৮ সালে ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। পরে হয়েছিলেন মন্ত্রীও। তাঁর মন্ত্রীত্বকালে এলাকার স্বার্থে তাঁর অবদানের স্মৃতিগুলো আজো জীবন্ত গোটা ফটিকরায় তথা কুমারঘাট মহকুমায়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ফটিকরায়ের আম্বেদকর কলেজ স্থাপন। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি দলে। পরে আবার ফিরে যান তার পুরানো দল কংগ্রেসে। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন কংগ্রেস দলের নেতা।
এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়ীতে ভীড় জমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে প্রশাসনের কর্তা সহ তার শোভাকাঙ্খীরা। খবর পেয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে যান বর্তমান বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী সুধাংশু দাস, বিধায়ক ভগবান দাস, প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা দ্বীবা চন্দ্র রাঙ্খল, সিপিআইএম কুমারঘাট মহকুমা সম্পাদক মিন্টু চন্দ্র দাস,স্বপন বৈষ্ণব সহ সব দলের নেতৃত্বরা।
কুমারঘাট মহকুমার জন্য সুনীল চন্দ্র দাসের অবদান অপরিসীম। তাঁর মৃত্যু সবার জন্যই অপূরনীয় ক্ষতি। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানালেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস থেকে বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বরা। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, একপুত্র, কন্যা, পুত্রবধু সহ অংসখ্য গুনমুগ্ধদের। এদিন প্রয়াতের বাড়ীতে ত্রিপুরা পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে গার্ড অফ অনার দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে কুমারঘাটের শ্মসানঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় প্রাক্তন মন্ত্রীর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডাঃ মানিক সাহা, মন্ত্রী রতন লাল নাথ সহ আরো বিশিষ্টরা।