অনলাইন ডেস্ক, ৫ অক্টোবর।। কৃষ্ণ সাগরে বেসামরিক পণ্যবাহী জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে সমুদ্র মাইন ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া, গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এমন সতর্কতা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় আল জাজিরা।বুধবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায় যে, “তাদের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে কৃষ্ণ সাগরের দিয়ে শস্য রপ্তানি সহজ করার জন্য ইউক্রেন দ্বারা গঠিত মানবিক করিডোরের মধ্যে ভ্রমণকারী বেসামরিক জাহাজগুলিকে আটকাতে সমুদ্র মাইন ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করছে রাশিয়া।“ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাশিয়া প্রায়শই নিশ্চিতভাবেই কৃষ্ণ সাগরে বেসামরিক জাহাজের বিরুদ্ধে যে কোনো হামলার জন্য ইউক্রেনকে মিথ্যাভাবে দোষারোপ করে। তাই যুক্তরাজ্য রাশিয়ার এই কৌশল প্রকাশ করলো যাতে এই ধরনের কোনো ঘটনা তারা আর ঘটতে না পারে।“
বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলিকে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে “বিশ্ব দেখছে” কৃষ্ণ সাগরে কী হচ্ছে এবং ইউক্রেনের উপর তাদের হামলার জন্য রাশিয়ার নিষ্ঠুর প্রচেষ্টা।” যুক্তরাজ্যের এই সতর্কবার্তা এমন সময়ে সামনে এলো যখন ইউক্রেনের নৌবাহিনী জানিয়েছে যে ১২টি পণ্যবাহী জাহাজ ইউক্রেনীয় বন্দরগুলিতে যাওয়ার জন্য কৃষ্ণ সাগরের শিপিং করিডোরে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত।
ইউক্রেনের বন্দরে ভ্রমণের ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক পণ্যবাহী জাহাজের জন্য কৃষ্ণ সাগরে একটি অস্থায়ী “মানবিক করিডোর” স্থাপন করেছে ইউক্রেন, যেখানে সাড়া দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ এবং বেশ কয়েকটি জাহাজ তখন থেকে রুটটি ব্যবহার করেছে। বুধবার, ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক বলেন যে, “নতুন করিডোরে প্রবেশের জন্য মোট ১২টি, এবং ছেড়ে যাওয়ার জন্য ১০টি জাহাজ অপেক্ষমাণ রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী আঞ্চলিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করছে বলেও জানান তিনি। জাহাজগুলি রোমানিয়া, বুলগেরিয়া এবং তুরস্কের জলসীমায়ও অগ্রসর হচ্ছে বলেও জানান প্লেটেনচুক।এর আগে জুলাইয়ের শেষের দিকে রাশিয়া ইউক্রেন শস্য চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সময় জানায় যে, কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের দিকে যাওয়া যে কোনো জাহাজকে তারা সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করবে।
এদিকে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি বিমান হামলাও বাড়িয়েছে রাশিয়া। এসব হামলায় এ পর্যন্ত ১৩০টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় তিন লাখ টন শস্য ধ্বংস হয়েছে। এসব শস্য এক বছরের জন্য ১০ লাখের বেশি লোককে খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিলো বলছে যুক্তরাজ্য।