আগরতলা, ৫ অক্টোবর।। দশমীর দিন ত্রিপুরার মানুষ মৎস্য দপ্তরের কাউন্টার থেকে কম দামে যাতে ভাল মাছ ক্রয় করতে পারেন এজন্য দপ্তরকে উদ্যোগ নিতে হবে। বৃহস্পতিবার গোর্খাবস্তিস্থিত মৎস্য দপ্তরের কনফারেন্স হলে মৎস্য দপ্তরের রাজ্যভিত্তিক পর্যালোচনা সভায় মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন।
মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য দপ্তর বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে দপ্তর কাজ করছে। মৎস্যচাষিদের সার্বিক কল্যাণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের গৃহীত পরিকল্পনাগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়ণের ফলে সাফল্য আসছে। গত এপ্রিল মাসে দপ্তরের এরূপ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত পর্যালোচনা সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কতটুকু রূপায়ণ করা গেছে ও সাফল্য পাওয়া গেছে তা খতিয়ে দেখতে আজকের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি জলাশয় ও হ্যাচারীগুলিতে অধিক মৎস্যচাষের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। মৎস্যচাষিদের উৎসাহিত করতে নলেজ সেন্টারগুলিকে কাজে লাগতে হবে। তিনি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়মিত ফিল্ড ভিজিট করার নির্দেশ দেন।
পর্যালোচনা সভায় মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা মোসলেমউদ্দীন আহমেদ জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় রাজ্যে মাছ চাষ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ৪৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার মঞ্জুরী পাওয়া গেছে। রাজ্য সরকার থেকে (স্টেট শেয়ার) ৪ কোটি ৯৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মঞ্জুরী পাওয়া গেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক থেকে ত্রিপুরা রুরাল ইকোনমিক গ্রোথ এন্ড সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্টে ২২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুরী পাওয়া গেছে। এবারের বাজেটে মাছের ও মাছের পোনার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনা নামে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
পর্যালোচনা সভায় অধিকর্তা আরও জানান, এবছর রাজ্যে ৮টি হ্যাচারি গড়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাছাড়াও অমরসাগর ও ধনীসাগরে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে চিংড়ি ও পাবদা মাছ চাষে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক প্রথায় মৎস্যচাষের জন্য মৎস্যচাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পর্যালোচনা সভায় ত্রিপুরা আবাসন ও নির্মাণ পর্ষদের সহকারি বাস্তুকার প্রদীপ রুদ্র পাল জানান, রাজ্যে ৯টি মৎস্য বাজার নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭টির কাজ শেষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পর্যালোচনা সভায় মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা, অধিকর্তা মোসলেমউদ্দীন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম অধিকর্তা সুভাষ সিং জমাতিয়া, বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার মৎস্য তত্ত্বাবধায়কগণ, মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিকগণ, প্রকৌশলীগণ এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।