অনলাইন ডেস্ক, ২৮ সেপ্টেম্বর।। আগামী ০৬ অক্টোবর নোবেল পুরস্কারের ঘোষণাগুলো যুগান্তকারী কৃতিত্বের একটি স্ট্রিং উদযাপন করবে, কিন্তু বিশ্বজুড়ে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি আফ্রিকান অভ্যুত্থান বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলেছে। এর ফলে স্টকহোমে গত ডিসেম্বরে নোবেল পুরস্কারের ভোজসভায় রুশ রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি ক্ষুব্ধ প্রতিবাদের মুখে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সুইডিশ অধ্যাপক পিটার ওয়ালেনস্টিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কমিটির পক্ষে এ বছর কোনও পুরস্কার না দেওয়া অনেক দিক থেকেই উপযুক্ত হবে। এটি বিশ্বের গুরুতর পরিস্থিতিকে চিহ্নিত করার একটি ভালো উপায় হবে। অর্ধ শতাব্দী আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের মধ্যে ১৯৭২ সালে শেষবার যেটি ঘটেছিল। কোনও প্রশংসনীয় প্রার্থী খুঁজে না পাওয়া দিনটি একটি ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সেক্রেটারি ওলাভ এনজোলস্টাড বলেছেন, এটা ভাবা খুব কঠিন যে এ রকম পরিস্থিতি আবারও হতে পারে। তবে আমি বলব না এটা অসম্ভব। বিশ্বের সত্যিই এমন কিছু দরকার যা একটি ভালো দিক নির্দেশ করতে পারে। এ বছরও নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের জন্য প্রতিটি প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে মনোনয়নের তালিকা গোপন থাকলেও ৩৫১ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এতে রয়েছে বলে জানা গেছে।