স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৬ সেপ্টেম্বর।। রাজ্য সরকার ২০১৭ সাল থেকে জ্যামের মাধ্যমে ৪৯৭ কোটি টাকার নানা সামগ্রী ক্রয় করেছে। এই সাফল্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরাকে বেস্ট পারফর্মিং স্টেট হিসেবে পুরষ্কৃত করেছে। মঙ্গলবার আগরতলা টাউনহলে গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস (জ্যাম) নিয়ে এক কর্মশালার উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, ভারত সরকার ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট দেশে জ্যাম পোর্টাল চালু করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে এক দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দেওয়ার জন্য এই পোর্টাল চালু করেছেন। আজকের দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত বিভিন্ন সংস্থা ও রাজ্যগুলি জ্যামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করছে। পরিষেবা গ্রহণ করছে। এরফলে ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সমূহ জ্যামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে ১৬ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে।অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই ই- মার্কেট প্লেসের আরও সম্প্রসারণ। আমাদের লক্ষ্য জিলা পরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটিস্তরেও এই পোর্টালকে অন্তর্ভুক্ত করা। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থ দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস অর্থাৎ জ্যামে ত্রিপুরা ভালো কাজ করছে। তিনি বলেন, জ্যাম শুধু সরকারি দপ্তরের জনা নয়। এতে মাঝারি, ছোট ও অতিক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা যাতে যুক্ত হতে পারে তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা রাজ্য ছাড়াও বহিরাজ্যে তাদের উৎপাদিত সামগ্রী জ্যামের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারেন। তিনি বলেন, ৮টি জেলায় ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট, ওয়ান প্রোডাক্টে জ্যাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অতিরিক্ত অর্থসচিব আকিঞ্চন সরকার বলেন, সারা দেশে জ্যাম পোর্টালে ৬০ লক্ষ রেজিস্ট্রিভুক্ত বিক্রেতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। প্রায় ৪০ হাজার বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী এই পোর্টালের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সরকারের জ্যাম পোর্টালের অ্যাডিশনাল সিইও যোগেন্দ্র কুমার পাঠক এবং রাজা নোডাল অফিসার অমরদীপ গুপ্তা। কর্মশালায় বিভিন্ন অর্থবছরে জ্যামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, অর্থ, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, রাজস্ব, গ্রামোন্নয়ন, শিল্প ও বাণিজ্য, সর্বশিক্ষা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা, আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে পুরস্কৃত করা হয়।