স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৫ সেপ্টেম্বর।। ক্লাবের মাধ্যমেই এলাকার জনগণের মধ্যে একাত্মবোধ জাগ্রত হয়। পাশাপাশি এলাকায় গার্হস্থ্য সমস্যা সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও ক্লাবগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সোমবার আগরতলা শহরের কাসারিপট্টিস্থিত অরবিন্দ ক্লাবের ৬৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ঋষি অরবিন্দের আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, আমাদের রাজ্যে ক্লাব সংস্কৃতি বহুদিনের। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্লাব সংস্কৃতিরও পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে কোনও এলাকার উন্নয়নে ক্লাবগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। বর্তমানে ক্লাবগুলির মধ্যে সুস্থ সংস্কৃতি বজায় রয়েছে। আর এই সংস্কৃতির মাধ্যমে আমাদের ঐক্যবোধ প্রদর্শিত হয়ে থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঋষি অরবিন্দের আধ্যাত্মিক দর্শন ছিল অভাবনীয়। তাঁর দর্শন ও চিন্তাধারাকে আমাদের জীবনেও প্রয়োগ করা প্রয়োজন। তবেই সুষ্ঠ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহান দার্শনিক ঋষি অরবিন্দের দেশাত্মবোধক ভাবনাকে পাথেয় করেই দেশের অখন্ডতাকে রক্ষা করার কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে বিশ্বগুরু বানানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই ঋষি অরবিন্দের আদর্শকে সঠিক সম্মান জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যে সমস্ত মনীষী অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে ঋষি অরবিন্দ অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে রাজ্যেও বিভিন্ন স্থানে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তি স্থাপন করে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হচ্ছে। দেশের বরেন্য ব্যক্তিদের আদর্শকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের ২০ নং ওয়ার্ডের কর্পোরেটর রত্না দত্ত। অরবিন্দ ক্লাবের সম্পাদক নারায়ণ দত্ত ও সভাপতি তাপস দে রায় প্রমুখ।