অনলাইন ডেস্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর।। নাগর্নো-কারাবাখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ব্যাপক অভিযান চালানোর পর আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজান সরকারের সঙ্গে এক চুক্তির অধীনে তাদের অস্ত্র জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মস্কো নিশ্চিত করেছে, গতকাল শুক্রবার বিদ্রোহীরা প্রথম অস্ত্র সমর্পণ করেছে এবং রাশিয়ান শান্তিরক্ষীদের সহায়তায় চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্দশার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ায় জার্মানি পার্বত্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে বিরোধ চলছে। যুদ্ধে উভয় পক্ষই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং শরণার্থীর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
আজারবাইজান বাহিনীর এই সপ্তাহের ব্যাপক অভিযানের ফলে বিতর্কিত ছিটমহলের বিদ্যুৎ ও অন্যান্য মৌলিক বিষয় থেকে হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের এক মুখপাত্র শুক্রবার বলেন, প্রধান নগরী স্টেপানাকার্টের আতঙ্কিত বেসামরিক জনগণ তাদের বেসমেন্টে লুকিয়ে থাকছে এবং আজারবাইজানের বাহিনী উপকণ্ঠে ক্যাম্প করেছে। আর্মিন হায়রাপেটিয়ান নামে মুখপাত্র বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শক্ত ঘাঁটিতে অবস্থান করা এএফপির এক সাংবাদিক বলেন, আশপাশের গ্রাম থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষ শহরে আসায় আতঙ্কিত জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির অভাব দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও ভেতরে-বাইরে মানুষের আসা যাওয়ার সুবিধার্থে লাচিন করিডোর নামে পরিচিত আর্মেনিয়ার দিকে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পুনরায় খোলার জন্য আজারবাইজানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।