স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর।। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। পর্যটনমন্ত্রী জানান, রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ১২৫টি ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুল লাইব্রেরিয়ান পদে আরও ১২৫টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই পদগুলি মূলত বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতাধীন স্কুলগুলিতে নিয়োগ করা হবে।
পর্যটনমন্ত্রী শ্রীচৌধুরী জানান, রাজ্যের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধীনে ৮টি স্পোর্টস অফিসারের শূন্যপদে সরাসরি নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়েছে। গ্রুপ-বি গ্যাজেটেড স্পোর্টস অফিসার পদে তিনটি পর্যায়ের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষার মাধ্যমে টিপিএসসি নিয়োগ করবে। জনজাতি কল্যাণ দপ্তর এবং তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরে ৫০টি গ্রুপ-সি সুপারভাইজারের শুন্যপদে লোক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। দপ্তর এই পদে ফিক্সড-পে ভিত্তিক লোক নিয়োগ করবে। এজন্য অর্থ দপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীন মহারাজা বীরবিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে ১৪টি টিচিং পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরমধ্যে রয়েছে প্রফেসর পদে ৪ জন, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে ৪ জন এবং অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর পদে ৬ জন। তিনি জানান, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলির জন্য বিভিন্ন বিষয়ে অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর পদে ৭৫ জন লোক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে ই-ক্যাবিনেট শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেপারলেস প্রশাসনের উপর জোর দিয়েছেন। রাজ্য সরকারও পেপারলেস প্রশাসনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসাবে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ই-ক্যাবিনেট শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রী আরও জানান, জনজাতিদের শিক্ষা, স্বাস্থা, স্ব-নির্ভরতা সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এবং রাজ্য বাজেটেও জনজাতিদের সার্বিক কল্যাণে ‘মুখ্যমন্ত্রী ট্রাইবেল ডেভেলপমেন্ট মিশন চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুসারে এই প্রকল্পের জন্য প্রথম বছরে ৩০ কোটি টাকার আর্থিক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুসারে এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে। তিনি জানান, রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তর এই প্রকল্পের জন্য রেজিস্টেশনের কাজ শুরু করবে। এর মাধ্যমে জনজাতি এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয়জলের ব্যবস্থাসহ যুবক- যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জনজাতি কল্যাণে ‘মুখ্যমন্ত্রী ট্রাইবেল ডেভেলপমেন্ট মিশন চালু রাজ্য সরকারের একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলে পর্যটন মন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন।