স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর।। হাতেগোনা আর মাত্র তিন দিন। এরপরই সারা রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার পূজা। বিশ্বকর্মা পূজার আসলেই বাঙালি হিন্দুদের মনে দোলা দিয়ে যায় দুর্গোৎসব। দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনা যেন নিয়ে আসে হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা। শাস্ত্রমতে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকর্মা পূজা। সাধারণত বিভিন্ন কল কারখানায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনা। এই জগতের সমস্ত শিল্পকলার স্রষ্টা দেব শিল্পী বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি ও আশীর্বাদ লাভের আশায় করা হয়ে থাকে এই পূজা।
কথিত আছে দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন স্বয়ং দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা। এছাড়াও রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পান্ডবদের মায়া সভা, ভগবান ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, মহাদেবের ত্রিশূল, কুবেরের অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্রসহ সব দেবদেবীর কল্পিত সব অস্ত্রের নির্মাতা এই দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা বলে কথিত। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা বিশ্বাস করেন যে এই জগতের সমস্ত শিল্পকলার স্রষ্টা হলেন দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা। তিনি সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক ও সম্পাদক। শিল্প বিদ্যায় শিল্পী বিশ্বকর্মার রয়েছে একচ্ছত্র অধিকার। তাই দেব শিল্পীকে সন্তুষ্ট করতে ও তার আশীর্বাদ প্রাপ্তির লক্ষ্যে কোনরকম খামতি রাখেন না ভক্তবৃন্দ।
সেই লক্ষ্যেই এখন চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। মূর্তি পাড়ায় চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। যদিও অনেক আগে থেকেই মূর্তি তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখন চলছে শেষ তুলির টান। দেব শিল্পীর মুর্তির চাহিদা রয়েছে ভালোই, জানালেন রাজধানী আগরতলা শহরের এক মৃৎশিল্পী। তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মুর্তি তৈরীর বিভিন্ন সাজসরঞ্জামের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বাজারে। ফলে মুর্তির দামও বৃদ্ধি করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত কতটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্ধিহান এই মৃৎশিল্পী। তবুও আশা নিরাশার দোলাচলের মধ্যেও প্রতিমা তৈরিতে কোন খামতি রাখতে চাইছেন না স্থানীয় মৃৎ শিল্পীরা।