স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৩ সেপ্টেম্বর।। ষোড়শী নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আসামি দুই সন্তানের বাবাকে আর্থিক জরিমানা সহ ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করলেন পশ্চিম জেলার বিশেষ আদালতের স্পেশাল জজ শর্মিষ্ঠা মুখার্জী। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মোঃ সোহেল মিয়া। তার বাড়ি আমতলী থানাধীন চারিপাড়ায়।
২০১৯ সালের ২১ জুলাই সন্ধ্যায় আসামি সোহেল মিয়া ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নাবালিকাটি আনন্দনগরে তার গৃহ শিক্ষকের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু আসামী রাস্তা থেকে বলপূর্বক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের পর বিশালগড় থানাধীন চড়িলামে নিয়ে নাবালিকা মেয়েটির উপর পাশবিক লালশা চরিতার্থ করে দুই সন্তানের বাবা সোহেল মিয়া।
এদিকে রাত পর্যন্ত মেয়েটি বাড়িতে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজির পর মেয়েটির বাবা জানতে পারেন যে সোহেল মিয়া তার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করেছে। এরপরই নির্যাতিতার বাবা পুরো ঘটনা জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ মূলে মামলার দুই তদন্তকারী অফিসার শংকর দত্ত ও সুবিমল বর্মন তদন্ত শেষ করে ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। দীর্ঘ শুনানি শেষে উভয় পক্ষের শওয়াল জবাব শুনে ১৩ জন সাক্ষীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে ট্রায়াল কোর্ট মোঃ সোহেল মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার সাজা শোনায়। চূড়ান্ত রায় দানকালে বিচারক আসামিকে আইপিসির ৩৭৬ (২)( খ) এবং পক্সো আইনের ৪ নং ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি নগদ ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দেন। জরিমানার অর্থ রাশি অনাদায়ে আসামিকে অতিরিক্ত সাজা কাটতে হবে বলেও রায় উল্লেখ করে দিয়েছেন বিশেষ আদালতে স্পেশাল জজ।